March 29, 2024, 8:31 am
আতাউর শাহ্, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাবলু মন্ডলের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপূরে কালীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাবলু মন্ডল এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সিরাজুল ইসলাম বাবলু মন্ডল বলেন, কয়েকটি পত্রিকায় “প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর দেয়ার নামে কোটি টাকা আত্মসাৎ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদে উল্লেখ করা হয় যে, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে হত দরিদ্র গরীব অসহায় মানুষদের বিনা খরচে পাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে সরকার। সেই প্রকল্পের ঘর দেয়ার নাম করে কালীগ্রাম ইউনিয়নের সকল গ্রাম থেকে তিন শতাধীক সুবিধাভোগীর কাছ থেকে ৪০/৫০ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে। ইউপি সদস্যদের সহযোগিতায় চেয়ারম্যান টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে সংবাদে উল্লেখ করা হয়। যা সম্পন্ন মিথ্যে, ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট দাবি করে চেয়ারম্যান বলেন সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। ওই ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে কিছু অসাধু ব্যাক্তি চক্রান্ত করে আমার ক্লিন ইমেজ ক্ষুন্ন করতে কতিপয় লোকজনকে লেলিয়ে দিয়ে অসত্য তথ্য তুলে ধরে আমার এবং আমার পরিষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
তিনি প্রকৃত তথ্য তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে হত দরিদ্রদের জন্য পাকা ঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় রাণীনগর উপজেলায় মাত্র এক মাস আগে মোট ৯০টি ঘর বরাদ্দ এসেছে। যা এখনও ইউনিয়ন ভিত্তিক বন্টন করা হয়নি। সেহেতু এই প্রকল্পকে সামনে রেখে দুই বছর আগে থেকে টাকা নেয়ার বিষয়টি অবাস্তব বলে জানান তিনি। এছাড়া ঘরের বরাদ্দ পাওয়া গেলে প্রকৃত হত দরিদ্রদেরকে বাছাই করে বিনা পয়সায় ঘর পাওয়ার ব্যবস্থা করতে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। এ সময় প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যে, ভিত্তিহীন, বানোয়াট দাবি করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার শহিদুজ্জামান আকন্দ রুবিন, আনোয়ার হোসেন রাজু, হেলাল উদ্দীন মন্ডল, আব্দুল গফুর, মহিলা সদস্য হাফিজা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে সদস্য আনোয়ার হোসেন রাজু, শহিদুজ্জামান রুবিন ও হাফিজা চৌধুরী জানান, তাদের বক্তব্য বিকৃত করে সংবাদে উপস্থাপন করা হয়েছে। তারাও প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাবলু মন্ডল, ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন রাজুসহ কয়েকজন সদস্য বলেন, সংবাদ প্রকাশের আগে তাদের কাছে ওই সকল সাংবাদিকরা চাঁদা (টাকা) চেয়ে না পাওয়ায় এবং অসাধু ব্যক্তিদের ইন্দনে মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করেছেন। প্রকাশিত সংবাদে মানহানী হওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়।#