April 19, 2024, 2:10 pm

শিরোনাম :
বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাহাদাত হোসেন রনি পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাহাদাত হোসেন রনি ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাহাদাত হোসেন রনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আমাদের ধরে রাখতে হবে: সাহাদাত হোসেন রনি ৭ মার্চের ভাষণ সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য ঐতিহাসিক ভাষণ: সাহাদাত হোসেন রনি একুশের মূল চেতনা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ধারণ করতে হবে: সাহাদাত হোসেন রনি একুশ আমাদের চেতনা, একুশ আমাদের বিশ্বাস: সাহাদাত হোসেন রনি স্বাধীনতার পূর্ণতার দিন বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: সাহাদাত হোসেন রনি কক্সবাজার ১ আসনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে শেষ মূহুর্তে জাফর আলমের ভোট বর্জনের ঘোষণা বাঙালি জাতির আস্থার নাম হলো ছাত্রলীগ: সাহাদাত হোসেন রনি
আইনের তোয়াক্কা না করেই চাটমোহরে চলছে ইটভাটা,পরিবেশ হচ্ছে বিপন্ন

আইনের তোয়াক্কা না করেই চাটমোহরে চলছে ইটভাটা,পরিবেশ হচ্ছে বিপন্ন

পাবনা প্রতিনিধি

পরিবেশগত ছাড়পত্র ও আইনের তোয়াক্কা না করেই পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চলছে ১১টি ইটভাটা। সম্প্রতি জেলা প্রশাসন দুটি ইটইটভাটাকে জরিমানা ও দুটি ইটভাটা ভেঙে দিয়েছে। কিন্তু সেগুলো আগের মতোই চলছে। পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অদিপ্তরের অভিযান কোনো কাজে আসছে না। ইটভাটা মালিকরা মানছে না ইট তৈরি ও ভাটা স্থাপন আইন। তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো আবাসিক,কৃষি জমি ও পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করেছে। আর এসব ইটভাটায় অবাধে পোড়ানো হচ্ছে মূল্যবান বনজ ও ফলদ গাছ। ভাটার ধূলা,কালো ধোঁয়া ও আগুনের তাপে ধ্বংস হচ্ছে নিকটবর্তী এলাকার সবুজ মাঠ,বনজ সম্পাদ ও ফলদ গাছ। এসকল ইটভাটার কোনো প্রকার অনুমোদন নেই। নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র কিংবা কৃষি বিভাগের প্রত্যায়নপত্র। এসকল ভাটা মালিকদের খুঁটির জোর কোথায়-এ প্রশ্ন সচেতন মহলের।

চাটমোহর উপজেলার ১২টি ইটভাটা রয়েছে। এগুলো হলো মূলগ্রাম ইউনিয়নের মহেষপুর এলাকার এ এ এ ব্রিক্স,এই ইউনিয়নে কে বি এস বিক্স,গুনাইগাছা ইউনিয়নের গুনাইগাছায় ও হরিপুর ইউনিয়নের ধুলাউড়িতে সিটিবি ব্রিক্স,ছাইকোলায় বি বি এফ ব্রিক্স,ছাইকোলায় আর এ এন ব্রিক্স,ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের কামালপুরে এ কে বি বিক্স,বিলচলন ইউনিয়নের বওশা ঘাটের আর বি ই বিক্স,মহাজেরপাড়ার হাজি বিক্স,বওশা খেয়াঘাটের ডি এস এ বিক্স,হরিপুরে মল্লিক বিক্স এবং হরিপুরের এ আর টি বিক্স।এমধ্যে এ এ এ বিক্স-এর ট্রেড লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন,বিএসটিআই-এর অুমোদন থাকলেও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স নেই। অন্যগুলোর ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া আর কিছুই নেই। উপজেলার গুনাইগাছা ও ধুলাউড়িতে একই মালিকের একই নামে (সিটিবি) দুটি ইটভাটা থাকলেও তাদের কোনো প্রকার বৈধতা নেই। ইটভাটা দুটি ফসলি জমিতে স্থাপন করা হয়েছে। কোনো প্রকার আইন কানুনের তোয়াক্কা এরা করছে না। পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। একই অবস্থা কামালপুর,ছাইকোলা,হরিপুরের ইটভাটাগুলোর।

চাটমোহর উপজেলার অবৈধ ইটভাটায় দিনরাত অবাধে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। ফসলি জমির মাঝখানে স্থান করা হয়েছে এগুলো। কোনো প্রকার নিয়মনীতিই মানা হচ্ছে না। নেই কোনো প্রকার অনুমোদন। ইটভাটায় প্রতিদিন শত শত মণ কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। ধোঁয়ার কারণে মরে যাচ্ছে গাছপালা। পরিবেশ হচ্ছে বিপন্ন। ইতোপূর্বে সিটিবি,কেবিএস,এ কে বি বিক্স ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে জরিমানাও করেছে। কিন্তু তাদের কর্মকাণ্ড থেমে নেই।

এ ব্যাপারে পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেছেন,অবৈধ ইটভাটা চালানোর সুযোগ নেই। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Comments are closed.




© All rights reserved © 2020 districtnews24.Com
Design & Developed BY districtnews24.Com