April 19, 2024, 5:08 am
বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি: বড়াইগ্রামের মাঁঝগ্রামে আনিসুর রহমান নামের এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে মোবাইলে ডেকে নিয়ে এক শিক্ষার্থীর মাকে ধর্ষণের অভিযাগ উঠেছে। এদিকে, থানায় যেতে না দিয়ে চাপের মুখে আপোষ মিমাংসার নামে বাবার বাড়ি যেতে বাধ্য করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গ্রামপ্রধানরা। অভিযুক্ত আনিসুর রহমান মাঁঝগ্রামের সাদিকুর রহমান মুন্সীর ছেলে। তিনি মাঁঝগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।সোমবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারী সন্ধ্যায় আনিসুর রহমান ঐ মহিলাকে ছেলের লেখাপড়া বিষয়ে কথা বলার জন্য মোবাইলে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে ডেকে নেন। পরে সেখানে বাড়ির সদস্যদের অনুপস্থিতির সুযাগে আনিস তাকে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। এ সময় প্রতিবেশীরা তার ডাক চিৎকারে এগিয়ে এসে আনিসকে হাতে নাতে আটক করেন। এদিকে খবর পেয়ে আনিসের স্বজনরা এসে হুমকি ধামকি দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। পরের দিন ঐ নারীর বাবাকে খবর দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বারের নেতৃত্বে স্থানীয় গ্রাম প্রধানরা নাম মাত্র বিষয়টি মিমাংসা করেন।একই সঙ্গে তাদেরকে থানায় গেলে অমঙ্গল হবে জানিয়ে ঐ নারীকে তার বাবার সঙ্গে চলে যেতে বাধ্য করেন। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আনিস পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে মাঁঝগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুস্তম আলী মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আনিস শারীরিক অসুস্তার কারণে ছুটিতে আছেন। তবে তিনি একটানা কয়দিন ছুটি পেতে পারেন জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার বলেন, এটি পারিবারিকভাবে মিমাংসা করে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ঐ মহিলাকে সবার সাথে মিলে চলার স্বার্থেই মামলা না করাসহ কিছুদিন বাবার বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস বলন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।