March 29, 2024, 8:49 am

শিরোনাম :
২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাহাদাত হোসেন রনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আমাদের ধরে রাখতে হবে: সাহাদাত হোসেন রনি ৭ মার্চের ভাষণ সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য ঐতিহাসিক ভাষণ: সাহাদাত হোসেন রনি একুশের মূল চেতনা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ধারণ করতে হবে: সাহাদাত হোসেন রনি একুশ আমাদের চেতনা, একুশ আমাদের বিশ্বাস: সাহাদাত হোসেন রনি স্বাধীনতার পূর্ণতার দিন বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: সাহাদাত হোসেন রনি কক্সবাজার ১ আসনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে শেষ মূহুর্তে জাফর আলমের ভোট বর্জনের ঘোষণা বাঙালি জাতির আস্থার নাম হলো ছাত্রলীগ: সাহাদাত হোসেন রনি সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাহাদাত হোসেন রনি চৌদ্দগ্রামে বিএনএফের প্রার্থী জসিম উদ্দিনের ব্যাপক গণ সংযোগ
গুরুদাসপুরে শিকল বন্দি করে বাবাকে ১০ বছর টয়লেটে রেখেছিলো ছেলে! উদ্ধার করলো- ইউএনও তমাল হোসেন

গুরুদাসপুরে শিকল বন্দি করে বাবাকে ১০ বছর টয়লেটে রেখেছিলো ছেলে! উদ্ধার করলো- ইউএনও তমাল হোসেন

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
ভারসাম্যহীন বাবাকে ১০ বছর শিকল বন্দি করে টয়লেটে রাখলো ছেলে ও তার পরিবার। উদ্ধার করলো ইউএনও তমাল হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের চন্দ্রপুর ওয়াবদা বাজারে। শিকল বন্দী আমির ওয়াবদা বাজারের আমির আলী সুপার মার্কেটের মালিক। শিকল বন্দী আমিরের এক ছেলে দুই মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে সংসার।

গতকাল রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিকল বন্দী আমির আলীকে উদ্ধার করে শিকল ভেঙ্গে তার বাড়িতেই ভাল একটি ঘরে তাকে বাসস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তমাল হোসেন।

আমির আলির ভাগনে রহিম জানায়, দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ তার মামা আমির আলি কে কোন চিকিৎসা না করিয়েই নোংড়া জায়গায় বন্দি করে রেখেছিলো তার ছেলে মেয়েরা এবং স্ত্রী।
শিকল বন্দি আমির আলীর ছেলে মঞ্জু আলী এবং স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জানান, আমির আলী ভারসাম্যহীন হওয়ায় তাকে এমন ভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে। ১৪ বছর আগে তাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছিলো। তারপর আর কোন চিকিৎসা করা হয়নি। আমির আলীকে নোংড়া জায়গায় বন্দী রাখার ব্যাপারে পরিবারের লোকজন ভূল শিকার করেছেন। পরবর্তীতে আর তাকে এমন ভাবে রাখা হবেনা বলে ইউএনও ও এলাকাবাসীর কাছে প্রতিজ্ঞা করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তমাল হোসেন জানায়, দীর্ঘ ১০ বছর আমির আলীকে তার পরিবারের লোকজন একটি অস্বাস্থকর কুড়ে ঘরে তাকে শিকল বন্দী করে রেখেছিলো। সেই ঘরে বৃষ্টি হলেই হাটু পানি জমতো। শুধু তাই নয় যে ঘরে আমির আলী কে বন্দী করে রাখা হয়েছিলো, সেই ঘরেই তার শোয়ার জায়গা এবং টয়লেট স্থাপন করা হয়েছিলো। যে পাত্র দিয়ে টয়লেটের কাজ সারতো,সেই পাত্র দিয়েই তাকে আবার পানি পান করতে হতো। ভাঙ্গা কুড়ে ঘরে টয়লেট, গোসল, খাবারসহ পোকা মাকড়ের কামড় খেয়েই কাটিয়েছে ১০ বছর। #

নিউজটি শেয়ার করুন

Comments are closed.




© All rights reserved © 2020 districtnews24.Com
Design & Developed BY districtnews24.Com