March 29, 2024, 8:20 am
জামিনযোগ্য অপরাধের একটি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন না পাওয়ার কারণে জেল হাজতে গেলেন দক্ষিণ সুরমা জার্নালিষ্ট ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ।
গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে দক্ষিণ সুরমা মুছার গাঁও বাইপাস সড়কে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বিশ্বনাথের কামাল বাজার নভাগীর ফলিক মিয়া চৌধুরী ও কায়স্তরাইলের জুনেদ আহমদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী সাংবাদিক সোহেল ও তার লোকজনের উপর আক্রমন চালায়। উভয় পক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় জুনেদ আহমদের ভাগ্নে রুমন আহমদ হাতে সামান্য আঘাত পায়। ২৫ ডিসেম্বর রুমন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। উক্ত ঘটনার পেক্ষিতে রুমন আহমদ বাদি হয়ে সাংবাদিক সোহেলসহ চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। সাংবাদিক সোহেল আহমদের বড় ভাই সিলেট সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাপ্তাহিক বাংলার বারুদ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক বাবর হোসেন জানিয়েছেন, তিনি পুলিশ সূত্রে অবগত হয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর নানা মূখী চাপে এসএমপির সিনিয়র অফিসারদের নির্দেশে দক্ষিণ সুরামার ওসি খায়রুল ফজল মিথ্যা মামলাটি রুজু করেছেন। (মামলা নং-৩১(১২) ১৯/ জিআর ৩২৫/১৯)। ধারা- ৩২৩/ ৩২৪/ ৩০৭/ ৫০৬।
বুধবার (১ জানুয়ারী) সিলেটের মেট্রাপলিটন ম্যাজিষ্ট্যাট তৃতীয় আদালতে সাংবাদিক সোহেল আহমদসহ অপর তিনজন আত্মসমর্পন করলে ম্যাজিষ্ট্যাট শারমিন খানম মিলা জামিনযোগ্য অপরাধের উক্ত মামলায় শুনানী শেষে তিনজনকে জামিন দিলেও সাংবাদিক সোহেল আহমদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরনের আদেশ দিয়েছেন।
সিলেট সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাপ্তাহিক বাংলার বারুদ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক বাবর হোসেন আরো জানান, তিনি গোপন সূত্রে অবগত হয়েছেন, সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী উক্ত মামলার বাদি পক্ষের সাথে হাত মিলিয়ে তাহার ভাই সোহেল আহমদকে এসএমপি অথবা জেলা পুলিশের যে কোন থানা থেকে পূরুনো মামলার ফরোয়াডিং দিয়ে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে রাখার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।
সোহেল আহমদ দীর্ঘ দিন থেকে সিলেটে সাংবাদিকতা পেশার সাথে জড়িত রয়েছেন। বর্তমানে তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিলেট মিডিয়া ও সাপ্তাহিক বাংলার বারুদ পত্রিকায় কর্মরত আছেন।