April 20, 2024, 11:49 am

শিরোনাম :
বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাহাদাত হোসেন রনি পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাহাদাত হোসেন রনি ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাহাদাত হোসেন রনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আমাদের ধরে রাখতে হবে: সাহাদাত হোসেন রনি ৭ মার্চের ভাষণ সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য ঐতিহাসিক ভাষণ: সাহাদাত হোসেন রনি একুশের মূল চেতনা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ধারণ করতে হবে: সাহাদাত হোসেন রনি একুশ আমাদের চেতনা, একুশ আমাদের বিশ্বাস: সাহাদাত হোসেন রনি স্বাধীনতার পূর্ণতার দিন বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: সাহাদাত হোসেন রনি কক্সবাজার ১ আসনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে শেষ মূহুর্তে জাফর আলমের ভোট বর্জনের ঘোষণা বাঙালি জাতির আস্থার নাম হলো ছাত্রলীগ: সাহাদাত হোসেন রনি
আন্ডারওয়ার্ল্ডে আধিপত্যের লড়াই: সম্রাটকে খুন করতে চেয়েছিল জিসান-খালেদ

আন্ডারওয়ার্ল্ডে আধিপত্যের লড়াই: সম্রাটকে খুন করতে চেয়েছিল জিসান-খালেদ

ডিএন২৪ ডেস্কঃ রাজধানীর ৩০টি ক্যাসিনোসহ ঠিকাদার ও ভবন নির্মাণে যুবলীগের নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটের মাসে ৫০ কোটি টাকা চাঁদাবাজি হতো। এই বিপুল পরিমাণ চাঁদাবাজির একটা বিরাট অংশের প্রতি টার্গেট ছিল বিদেশে আত্মগোপন করা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের। এদের মধ্যে দুবাইয়ে আত্মগোপন করা জিসান, রনি এবং ভারতে আত্মগোপন করা শাহাদত, আশিকের নাম ছিল তালিকার শীর্ষে।

রাজধানীর বাড্ডা, মতিঝিল, মালিবাগ, শাহজাহানপুর, মগবাজার ও খিলগাঁও এলাকার চাঁদাবাজির একটি বড়ো অংশ জিসানের কাছে পৌঁছে যেত। ধীরে ধীরে জিসান হাত বাড়ান সম্রাটের চাঁদাবাজির সাম্রাজ্যের দিকে। মাসে ১০ লাখ টাকার পরিবর্তে চাঁদার অঙ্ক পৌঁছে যায় ১০ কোটি টাকায়। এ নিয়ে জিসানের সঙ্গে সম্রাটের বহুবার কথোপকথন হয়।

দৈনিক ইত্তেফাকের আজকের সংখ্যায় প্রকাশিত সাংবাদিক জামিউল আহসান সিপুর করা একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের আগে সিঙ্গাপুরে ম্যারিনা বে স্যান্ডস হোটেলে জিসানের সঙ্গে সম্রাট ও খালেদের বৈঠক হয়। সেখানে সম্রাটের কাছে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন জিসান। সম্রাট জানান, তিনি এখন রাজধানীর ডন। তিনি কাউকে চাঁদা দিতে পারবেন না। এমনকি মাসের ১০ লাখ টাকা চাঁদা পাঠানোও বন্ধ করে দেন সম্রাট। এ নিয়ে জিসান হাত মেলান খালেদের সঙ্গে। গত এপ্রিলে দুবাইয়ে জিসান-খালেদ বৈঠক হয়। সেখানে সম্রাটকে হ’ত্যা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বান্দরবান থেকে খালেদ পাঁচটি একে-২২ রাইফেল ঢাকায় আনেন। এগুলোর মধ্যে গত ৩০ জুন সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা ও খিলগাঁও থেকে দুটি একে-২২ রাইফেল উদ্ধার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত চার জনের কাছ থেকে ডিবি জানতে পারে যে চাঁদাবাজির আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণের জন্য জিসান-খালেদের নির্দেশে তারা এসব একে-২২ রাইফেল ঢাকায় এনেছিল।

হত্যার পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার আগেই সম্রাট বিষয়টি টের পান। এরপর থেকে সম্রাট ও খালেদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে। সম্রাট তার চলাফেরায় অনেকটা গোপনীয়তা নিয়ে আসেন। তাকে বহন করা গাড়ির আগে ও পেছনে অন্তত ছয়টি গাড়িতে ক্যাডার নিয়োজিত করা হয়। এসব ক্যাডারের কাছে ২০-২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে খালেদ গোয়েন্দা সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। এমনকি বিশ্বস্ত কেউ না হলে তার সঙ্গে সাক্ষাত্ও বন্ধ করে দেন সম্রাট।

এদিকে দুবাইয়ে জিসান গ্রেপ্তার হওয়ার খবরের পর ঢাকায় অবস্থানকারী তার ক্যাডারদের অন্তত ৪০ জন সদস্যকে খুঁজছে গোয়েন্দারা। তাদের মধ্যে বেশির ভাগ সদস্য আগ্নেয়াস্ত্র বহন করে। যদিও খবর রয়েছে, অনেকেই এরই মধ্যে সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করে বিদেশে পালানোর চেষ্টায় রয়েছে। সেই সঙ্গে জিসান, সম্রাট ও খালেদকে সহযোগিতা করতেন সাবেক ও বর্তমান সরকারের অন্তত এক ডজন রাজনীতিবিদ। তাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, এমপি, সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ এমপি-মন্ত্রীদের ভাই ও স্বজনেরাও রয়েছেন।

গতকাল পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম বলেন, ‘দুই-তিন মাস আগে থেকে দুবাই ইন্টারপোল শাখা জিসানের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিচ্ছিল। সর্বশেষ জিসান আলী আকবর চৌধুরী নাম দিয়ে ভারতের পাসপোর্ট নিয়েছিল, সে বিষয়েও আমাদের কাছে তথ্য ছিল। দুবাই ইন্টারপোল তাকে অনুসরণ করে সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে। ঐ সব তথ্য ঢাকায় এনসিবিতে পাঠিয়ে দেয়। ঐ সব তথ্যের মাধ্যমে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে দুবাই ইন্টারপোলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঐ ব্যক্তি জিসান। এরপর এ ব্যাপারে চিঠি চালাচালি করা হয়। এর মাসখানেক আগে আমি দুবাই গিয়ে আমাদের দুই অপরাধীকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে আসি। গত বুধবার দুবাই ইন্টারপোল জিসানকে আটক করে পুলিশের কাছে দিয়ে দেয়। তারা বাংলাদেশের এনসিবিকে জানায় যে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে পর্যাপ্ত নথিপত্র দিয়ে দ্রুত দেশে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করে।’

পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি সূত্রে জানা গেছে, জিসানের বিরুদ্ধে পাঁচটি হত্যা ও ছয়টি চাঁদাবাজির মামলার নথিপত্র দুবাই ইন্টারপোলের কাছে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২০০০ সালে মতিঝিলের আরামবাগ ক্লাবে বুলু খুন, ২০০৩ সালে সানরাইজ হোটেলে দুই পুলিশ কর্মকর্তা খুন, ২০০৯ সালে মেরুল বাড্ডায় তুবা গ্রুপের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের শ্বশুর হত্যাসহ পাঁচটি হত্যা মামলার নথি পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ডিবির দুই পুলিশ সদস্য হ’ত্যাসহ বহু অপকর্মের হোতা।

সূত্র: জুমবাংলা

নিউজটি শেয়ার করুন

Comments are closed.




© All rights reserved © 2020 districtnews24.Com
Design & Developed BY districtnews24.Com