April 25, 2024, 10:20 pm
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ইতালী শাখার কার্যনির্বাহী কমিটির সন্মানীত সদস্য, ও বৃহত্তর ঢাকা সমিতি, ইতালির সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন রনি বলেন, আজ যখন আমরা ১৫ আগস্টকে ফিরে দেখি, তখন মনে হয়, মানুষকে ভালোবাসা ও বিশ্বাস করাই বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে নিহত হওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণ। যিনি এই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং প্রতিষ্ঠাতা তাকে এরকম নির্মমভাবে ঘাতকের বুলেটে নিহত হতে হবে, তা কল্পনার অতীত! বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্থপতি। এই বাংলাকে, বাংলার মানুষকে তিনি এতটাই বেশি ভালোবেসেছিলেন যে, তাদের কেউ তার সঙ্গে বিশ্বাঘাতকতা করতে পারে, এটা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি।
তবে এটাও ঠিক, কয়েক জন বিপথগামী আর্মি অফিসারের দ্বারা সংঘটিত হত্যাকাণ্ড বঙ্গবন্ধুকে মুছে দিতে পারেনি। বাংলার মানুষ তাকে আগে যেমন ভালোবেসেছে আজও তাকে হূদয় দিয়ে ভালোবাসে। জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির কাছে চিরস্মরণীয় এক নাম। বাঙালির প্রেরণার নাম। যিনি না থেকেও বাংলার মানুষের হূদয়ে বেঁচে আছেন—মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধু হয়ে।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্ত, বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবনেতা ও সাংবাদিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ইতালী শাখার কার্যনির্বাহী কমিটির সন্মানীত সদস্য, ও বৃহত্তর ঢাকা সমিতি, ইতালির সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন রনি। এক বিবৃতিতে শাহাদাত হোসেন রনি ওই দিনে নিহত সবার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও তার পরিবারকে হত্যাকারী সকল খুনিকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।