April 18, 2024, 11:45 am
ডিএন২৪ ডেস্ক: পুঁজিবাজারের বাইরে থাকা ৩১টি বীমা কোম্পানিকে ডিসেম্বরের মধ্যে তালিকাভুক্ত হওয়ার নির্দেশনা থাকলেও কোনো বীমা কোম্পানি তালিকাভুক্ত হচ্ছে না।গত আড়াই মাসে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে কোনো বীমা কোম্পানি আবেদনও করেনি।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল পুঁজিবাজারের বাইরে থাকা ৩১টি বীমা কোম্পানিকে তিন মাসের মধ্যে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।যদি তালিকাভুক্ত না হয় তাহলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।তিনি বলেছেন, দেশে জীবন ও সাধারণ বীমার ৭৮টি কোম্পানি রয়েছে।এর মধ্যে ৪৭টি কোম্পানি পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত। বাকি ৩১টি কোম্পানি এখনও তালিকাভুক্ত হয়নি। আগামী তিন মাসের মধ্যে এসব বীমা কোম্পানিকে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত হতে হবে।না হলে তাদের সনদ বাতিল করা হবে।তিনি আরো বলেছেন, আগামীতে গবাদিপশু, ভবন-দালান-ফ্ল্যাটকে বীমার আওতায় নিয়ে আসা হবে। সে অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৩১টি কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হবে।
এ প্রসঙ্গে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সদস্য গকুল চাঁদ দাস সোমবার (৯ ডিসেম্বর) তার কার্যালয়ে সারাবাংলাকে বলেন, অর্থমন্ত্রীর নির্দেশনা পাওয়ার পরে ১৬ সেপ্টেম্বর আইডিআরএ‘র থেকে ২৭টি বীমা কোম্পানিকে চিঠি দেওয়া হয়। এরপর ২৮ অক্টোবর কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে আমরা বৈঠকও করেছি। আগামী ১৭ ডিসেম্বর ফের আইডিআরএ’র কার্যালয়ে তাদের বৈঠকের জন্য ডাকা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ২৭টি বীমা কোম্পানির পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার বিষয়ে বড় কোনো অগ্রগতি নেই। চলতি মাসের মধ্যে এসব কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করা সম্ভব না। তবে আমরা চেষ্টা করছি অন্তত যেন প্রক্রিয়াটা শুরু করা যায়।
উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বীমা কোম্পানির সংখ্যা অনেক বেশি বলে অভিযোগ রয়েছে। তারপরও চাহিদা খাত সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ উপেক্ষা করে ২০১৩ ও ’১৪ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় আরও ১৬টি বীমা কোম্পানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এর ফলে দেশে মোট বীমা কোম্পানির সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৮টিতে। বাংলাদেশের তুলনায় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের জিডিপির আকার বেশ বড় হলেও সেখানে বীমা কোম্পানির সংখ্যা মাত্র ১৫টি। এ কারণে দেশে চাহিদার তুলনায় বীমা কোম্পানি বেশি হওয়ায় নতুন কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছে না।
নতুন বীমা কোম্পানিগুলো কাক্সিক্ষত প্রিমিয়াম আয় করতে না পারায় মূলধন ও গ্রাহকের সঞ্চয় ভেঙে চলছে। নতুন বীমা কোম্পানিগুলোর উল্লেখযোগ্য অংশই রয়েছে লোকসানে। বীমা খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন বীমা কোম্পানিকে আর্থিকভাবে লাভবান হতে হলে বছরে অন্তত ১০ কোটি টাকার প্রিমিয়াম আয় থাকতে হয়। কিন্তু ২০১৮ সালের তিন প্রান্তিকে অতালিকাভুক্ত ১৩ জীবন বীমা কোম্পানির প্রিমিয়াম আয় ছিল ৩৬ লাখ থেকে প্রায় ৭ কোটি টাকার মধ্যে।