April 18, 2024, 10:12 pm
পেকুয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় হামলায় মা, ছেলেসহ ৩ জন আহত হয়েছে। এ সময় দুবৃর্ত্তরা লবণ ব্যবসায়ীর বসতভিটার তারের ঘেরা ভাংচুরসহ ব্যাপক লুটপাট চালায়। জায়গার বিরোধকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ১১ নভেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের মওলারপাড়ায় হামলার এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন মওলার পাড়ার মৃত মোজাম্মেল হকের পুত্র মো: দুলাল (৪৮), দুলালের বোন উজানটিয়া ইউনিয়নের নতুনঘোনা পেকুয়ারচরের মৃত নুরুল ইসলামের স্ত্রী জন্নাতুল ফেরদৌস (৬৫), জন্নাতুল ফেরদৌসের ছেলে লবণ ব্যবসায়ী মো: সেলিম (৪২)। খবর পেয়ে পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক (এস,আই) হেশাম উদ্দিন ওই স্থান পরিদর্শন করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত জমি নিয়ে মওলারপাড়ায় মৃত মোজাম্মেল হকের পুত্র মো: দুলাল গং ও প্রতিবেশী মৃত আবু তাহেরের পুত্র নুরুল আবছারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ২৭ শতক জমিতে মো: দুলাল গং গত কয়েক বছর আগে কাঁটাতার দিয়ে জায়গার স্থিতি নির্দিষ্ট করা হয়। ওই অংশে দুলালের ভাগিনা নতুনঘোনার মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র মো: সেলিম ১৯-০২-২০২০ ইং তারিখে ০.০৯৯৫ একর জায়গা খরিদ করেন। মৃত রশিদ আহমদের পুত্র ফিরোজ আহমদ ওই জমি ভোগ দখলে থাকা অবস্থায় মো: সেলিমকে বিক্রি করেন। যার দলিল নং ২৪৭৩। মো: সেলিম প্রবাসে ছিলেন। করোনা ভাইরাসের সময় ওই জায়গাটিতে অবকাঠামো তৈরীর জন্য কাজ করছিলেন। তিনিও তার খরিদ অংশে মাটি ভরাটসহ জায়গাটি সংষ্কার করেন। এমনকি ওই স্থানে কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা দেন। এ দিকে ১১ নভেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যার দিকে নুরুল আবছারসহ ৫/৬ জনের দুবৃর্ত্তরা মো: দুলাল ও মো: সেলিমের জায়গায় হানা দেয়। এ সময় তারা সেলিম গংদের ভিটায় অনুপ্রবেশ করে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত লোকজন ভিটায় ভাংচুরসহ তান্ডব চালায়। কাঁটাতারের ঘিরা বেড়া উপড়ে ফেলে। খবর পেয়ে মো: সেলিম ও তার মা জন্নাতুল ফেরদৌস দ্রæত ওই স্থানে পৌছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেলিম তার জায়গাটিতে এমন কান্ডের প্রতিবাদ করছিলেন। এক পর্যায়ে নুরুল আবছার ও তার ছেলে হানিফ, আজিজ, রিদুয়ান, হারুণসহ আরো কয়েকজন উত্তেজিত লোকজন মো: সেলিমকে এলোপাতাড়ি কিল,ঘুসিসহ মারধর করে। এমনকি সেলিমকে টানা হ্যাঁচড়া করে অজ্ঞাত স্থানের দিকে নিয়ে গিয়ে প্রাণনাশ চেষ্টাও চালানো হয়। ছেলেকে উদ্ধার করতে সেলিমের মা জন্নাতুল ফেরদৌস ও মামা দুলাল সেখানে পৌছেন। হামলাকারীরা এ ২ জনকেও কিল,ঘুসিসহ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। প্রত্যক্ষদর্শী কলিম উল্লাহ বলেন, এটি খুবই নিষ্টুরতা। এখানে নুরুল আবছারের কোন স্বত্ত নেই। পরিষদে বিচার আছে। কিন্তু নুরুল আবছার এ সব না মেনে সন্ধ্যার দিকে এসে সেলিম ও দুলাল গংদের দেওয়া ঘিরা বেড়া ভাংচুর করে। দুলালের স্ত্রী আজবাহার বলেন, নুরুল আবছার যেখানে ঘর করে আছে ওই জায়গাটিও জবর দখল করেছে। ওই দাগে তারা জায়গা পাবে ২০ শতক। এখন দখলে আছে প্রায় ৪৪ শতক। এরপরও আমার শাশুড়ের সম্পত্তির দিকে গ্রাস করার কুদৃষ্টি দিচ্ছে। এখন হামলা ও নির্যাতন করছে। দুলাল বলেন, আমরা ৩ জনকে তারা মারধর করেছে। জবর দখলে বারণ করতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২ জন চৌকিদার পাঠিয়েছিল। এদের উপস্থিতিতে আমাদেরকে হামলা করেছে। পুলিশ এসেছিল নোটিশ নিয়ে। পুলিশ যাওয়ার পর শুরু করে ঘেরা বেড়া ভাংচুর ও আমাদের উপর হামলা। মো: সেলিম জানান, তারা মূলত আমাকে প্রাণনাশের চেষ্টা করেছে। আমি আর্তচিৎকার করছিলাম। এরপর আমাকে উদ্ধার করতে এসে আমার মা ও মামাকে পিটিয়ে জখম করেছে তারা।