March 29, 2024, 3:03 pm
পেকুয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় জেলে পল্লীতে চলছে অর্থনৈতিক স্থবিরতা। অভাব অনটনে জেলেদেরকে গুনতে হচ্ছে দিন। ৭ অক্টোবর থেকে সারা দেশে সাগরের মাছ ধরা নিষেধ করা হয়েছে। সরকারী নিষেধাজ্ঞার কয়েক দিন অতিবাহিত হয়েছে। এরই মধ্যে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় জেলে সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে হাহাকার দেখা দিয়েছে। এ দিকে সরকারের নিষেধাজ্ঞার প্রতি সহনশীল ও শ্রদ্ধাবোধ পোষণকারী জেলে সম্প্রদায়ের বেকারত্ব সময়ে জীবিকায়নের জন্য প্রণোদনা দেয়ার অনুরোধ জোরদার হচ্ছে। বেকার জেলেদের আর্থিক পুনর্বাসনের জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিকট দাবী জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবি জেলে সমিতি পেকুয়ার তরফ থেকে এ দাবী অধিক জোরালো হচ্ছে। ক্ষুদ্র মৎস্যজীবি জেলে সমিতি সারাদেশে জেলেদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার থাকে। সমুদ্রপাড়ের ক্ষুদ্র মৎস্যজীবিদের অধিকার ও স্বার্থ নিয়ে এ সংগঠনটি অত্যন্ত তৎপর। মৎস্য শিকারীদের জীবনমান ও জীবিকার জন্য করা হয় কাজ। এ দিকে গত ৫ দিন ধরে পেকুয়ায় সাগর উপকুলবর্তী অঞ্চলগুলোতে চলছে হাহাকার। এ সব অঞ্চলে কয়েক হাজার জেলে বেকার রয়েছে। সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় এ সব জেলে পরিবারে এখন অভাব দেখা দিয়েছে। অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবিরা। ৭ অক্টোবর থেকে টানা ২২ দিন সাগরে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। বন্ধ আছে মৎস্যজীবিদের আয় রোজগার। পেকুয়া উপজেলায় সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন এমন জেলের সংখ্যা আছে কয়েক হাজার। ক্ষুদ্র মৎস্যজীবিদের নিয়ে কাজ করছে সারা দেশে এমন একটি সংগঠন রয়েছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবি জেলে সমিতি পেকুয়া উপজেলা শাখার তরফ থেকে মৎস্যজীবিদের অনুকুলে অনুদান সহায়তার দাবী জানানো হয়েছে। সংগঠনের পেকুয়ার সভাপতি জিয়াবুল হক জিকু ও সাধারন সম্পাদক এডভোকেট ওসমান গণি বলেন, আমরা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবি ও জেলেদের পুনর্বাসনের অনুরোধ রাখছি। ২২ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ। এটি সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ। মৎস্যভান্ডার সমৃদ্ধ করতে সরকারের এ নীতি অত্যন্ত বাস্তব সম্মত। জেলেরা সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি সহমত পোষণ করেছে। তবে ক্ষুদ্র জেলেরা অভাব অনটনের মধ্যে থাকে। মাছ ধরা বন্ধের সাথে সাথে তাদের আয় রোজগারও বন্ধ থাকে। অনেক জেলে অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছে। আমরা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবি জেলে সমিতির পক্ষ থেকে সরকার ও মৎস্য সম্পদ অধিদপ্তরকে আহবান করছি আপনারা জেলেদেরকে খাদ্য সহায়তা অথবা অর্থ সহায়তা দিয়ে পুনর্বাসন করুন।