April 25, 2024, 1:22 pm

শিরোনাম :
বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাহাদাত হোসেন রনি পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাহাদাত হোসেন রনি ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাহাদাত হোসেন রনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আমাদের ধরে রাখতে হবে: সাহাদাত হোসেন রনি ৭ মার্চের ভাষণ সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য ঐতিহাসিক ভাষণ: সাহাদাত হোসেন রনি একুশের মূল চেতনা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ধারণ করতে হবে: সাহাদাত হোসেন রনি একুশ আমাদের চেতনা, একুশ আমাদের বিশ্বাস: সাহাদাত হোসেন রনি স্বাধীনতার পূর্ণতার দিন বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: সাহাদাত হোসেন রনি কক্সবাজার ১ আসনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে শেষ মূহুর্তে জাফর আলমের ভোট বর্জনের ঘোষণা বাঙালি জাতির আস্থার নাম হলো ছাত্রলীগ: সাহাদাত হোসেন রনি
পেকুয়ায় স্ত্রীকে প্রাণনাশ চেষ্টা, সালিশকারও আসামী

পেকুয়ায় স্ত্রীকে প্রাণনাশ চেষ্টা, সালিশকারও আসামী

পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় স্ত্রীকে প্রাণনাশ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। যৌতুক নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর সংসারে কলহ তৈরী হয়েছে। যৌতুক লোভী স্বামী স্ত্রীকে একাধিকবার নিষ্টুর মারধর করে। এতে করে স্ত্রী স্বামীর সংসার থেকে পিতার বাড়িতে নিয়েছে আশ্রয়। এ দিকে স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য কলহের জের নিয়ে সালিশি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে স্ত্রীর উপর অমানসিক নির্যাতন বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্তে স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নারীর স্বামী আদালতে মামলা রুজু করে। ওই মামলায় জখমী স্ত্রী ও সালিশি প্রতিনিধিকেও করা হয়েছে আসামী। সম্প্রতি উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বাজারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সুত্র জানায়, গত ১ বছর আগে টইটং বাজারপাড়ার আবুল হাসেমের পুত্র সালাহ উদ্দিন ও একই ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড হাবিবপাড়ার ছৈয়দ নুরের মেয়ে কাউছারা বেগমের বিয়ে হয়েছে। ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহরে বর ও কনে পক্ষের সম্মতিতে মুসলিম শরীয়তমতে ওই দম্পতির বিয়ে হয়। ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর তাদের বিয়ে হয়েছে। এ দিকে বিয়ের কিছু দিন স্বামী-স্ত্রীর সংসার সুখী ছিল। সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী কাউছারা বেগম জানান, স্বামী সালাহ উদ্দিন আমাকে ৮/১০ বার পিটিয়েছে। বিয়ের সময় আমার পিতা যৌতুক দিয়েছিল। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে আমার কাছ থেকে যৌতুক দাবী করে। মেয়ের সুখের আশায় আমার বাবা একবার যৌতুকের জন্য বিপুল টাকা দিয়েছিল। এরপরও বার বার যৌতুক দাবী করছিল। এক বছরের মধ্যে কয়েক দফা মারধরের বিচার হয়েছে। আমি অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে পিতার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলাম। সর্বশেষ সালিশি বৈঠকে অঙ্গীকার দিয়ে স্বামী ও আমার শাশুড় আমাকে সংসারে নিয়ে যায়। চলতি বছরের ১৬ অক্টোবর যৌতুকের জন্য আমাকে নিষ্টুর মারধর করে। আমি হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। এরপর ওই সময় থেকে বাবার বাড়িতে আছি। শুনেছি আমাকে আসামী করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোর্টে মামলা করেছে। মামলায় আমি যাকে পালক পিতা হিসেবে শ্রদ্ধা করি তাকেও আসামী করে। টইটং বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারী মো: সেলিমুল্লাহ আমার স্বামীর প্রতিবেশী। তিনি আমাদের সাংসারিক বিষয়ে কিছু ন্যায়সঙ্গত সমাধান করেছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মামলায় আমি ছাড়াও তাকে আসামী করে। স্বামী সালাহ উদ্দিন পর নারীর সাথে পরকীয়া করছে। আমাকে প্রাণে মারতে চান। কাউছারার মা শাকেরা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে অনেকবার মারধর করেছে। আমার স্বামী দিনমজুর। আমাদের একমাত্র সন্তান কাউছারা। তাকে বিয়ে দেয়ার সময়ও টাকা দিয়েছি। আবার যৌতুকের জন্যও পরবর্তীতে টাকা দিয়েছি। এরপরও মারধর করা হচ্ছে। টইটং ইউপির নারী সদস্য দিলোয়ারা বেগম জানান, সেলিমসহ আমরা বিচার করেছি। এখানে বিচারক কেন আসামী হবে। ওদের স্বামী-স্ত্রীর সংসার। বিচারক আসামী হলে সমাজের বিচার সালিশ কে করবে। ইউপি সদস্য আবদুল জলিল বলেন, সালাহ উদ্দিন ও কাউছারার বিচার আমরা অনেকে করেছি। সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহর কাছে বিচার ছিল। বর্তমানে জাহেদ চেয়ারম্যানের কাছেও বিচার রয়েছে। সেলিমকে আসামী করা খুবই অন্যায় হয়েছে। টইটং বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলম প্রকাশ মোহাম্মদ মাঝি বলেন, আমি শুনে অবাক হয়ে গেছি। মানুষ বিচার সালিশ করলে যে মামলার আসামী হয়। সেলিম আমার কমিটির সেক্রেটারী। তিনি পরোপকারী ও প্রশংসনীয় গুণাবলীর অধিকারী সম্পন্ন ব্যক্তি। আমরা লিখিত প্রত্যয়নসহ সুপারিশ পাঠিয়েছি। সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ বলেন, এখানে মূলত ক্ষিপ্ত হয়ে সালাহ উদ্দিনের পরিবার বড় ভাই সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এ পরিবারকে সেলিমসহ আমার পরিবার অনেক সহযোগিতা করে থাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Comments are closed.




© All rights reserved © 2020 districtnews24.Com
Design & Developed BY districtnews24.Com