March 28, 2024, 1:56 pm
রংপুর অফিস
রংপুরের গঙ্গাচড়ার চরে খাসজমি নিয়ে বিরোধের জেরে বর্তমান ও সাবেক ইউপি সদস্যের সমর্থকদের সংঘর্ষে রিয়াজুল ইসলাম নামে একজন কৃষক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ২০ জন। অপর দিকে রংপুরের তারাগঞ্জে একটি কবরস্থানে আম গাছের সাথে রশি দিয়ে ঝুলন্ত হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সংঘর্ষে হতাহত ও লাশ উদ্ধার করা হয়।
রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মধুসূদন রায় জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলার নোহালি ইউনিয়নের বাগদোহারা চরে খাসজমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য আজিজুল ইসলাম ও সাবেক সদস্য সাইফুল ইসলামের মধ্যে এ বিরোধ।
তিনি জানান, এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে প্রশাসনের নির্দেশে সরকারি খাসজমি থেকে গম কেটে নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান তার জিম্মায় রাখেন। দুপুরে ওই খাসজমিতে বিবাদমান দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দু’পক্ষের লোকজন। এতে ছুরিকাঘাতে নিহত হন সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের সমর্থক রিয়াজুল ইসলাম নামে এক কৃষক।
পুলিশ কর্মকর্তা মধুসূদন রায় আরো জানান, সংঘর্ষে বর্তমান ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম, তার মেয়ে আমেনাসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। দুর্গম চরাঞ্চলের ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে নেয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হওয়ার পর সংঘর্ষ থামলেও উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
নোহালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ টিটু জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে ওই জমির গম কেটে নিয়ে আমরা ইউনিয়ন পরিষদের জিম্মায় রাখি। পরে শুনতে পাই ওই জমি দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছে ও একজন মারা গেছে।
হাত-পা বাঁধা কৃষকের লাশ উদ্ধার
এ দিকে মঙ্গলবার সকালে তারাগঞ্জ উপজেলা হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের কিশামত মেরা নগর কোরানিপাড়া এলাকার একটি কবরস্থানে আম গাছের সাথে রশি দিয়ে ঝুলন্ত হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার নাম তারা মিয়া (২৮)। এ সময় ওইখান থেকে একটি প্লাস্টিকের চেয়ার উদ্ধার করা হয়।
তারা মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম জানিয়েছেন, একই গ্রামের তবারক হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলামের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল তাদের।
শহিদুল তার স্বামীকে হত্যার পর হাত-পা বেঁধে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে দাবি করেন রহিমা বেগম।
একইসাথে তিনি স্বামী হত্যার বিচার দাবি করেন।
তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। ওসি আরো জানান, তারা মিয়া একটি হত্যা মামলায় ওয়ারেন্টের আসামি ছিলেন।