April 19, 2024, 9:52 am

শিরোনাম :
বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাহাদাত হোসেন রনি পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাহাদাত হোসেন রনি ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাহাদাত হোসেন রনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আমাদের ধরে রাখতে হবে: সাহাদাত হোসেন রনি ৭ মার্চের ভাষণ সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য ঐতিহাসিক ভাষণ: সাহাদাত হোসেন রনি একুশের মূল চেতনা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ধারণ করতে হবে: সাহাদাত হোসেন রনি একুশ আমাদের চেতনা, একুশ আমাদের বিশ্বাস: সাহাদাত হোসেন রনি স্বাধীনতার পূর্ণতার দিন বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: সাহাদাত হোসেন রনি কক্সবাজার ১ আসনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে শেষ মূহুর্তে জাফর আলমের ভোট বর্জনের ঘোষণা বাঙালি জাতির আস্থার নাম হলো ছাত্রলীগ: সাহাদাত হোসেন রনি
সু সংবাদ বনাম দুঃসংবাদ (উপজেলা পেকুয়া)

সু সংবাদ বনাম দুঃসংবাদ (উপজেলা পেকুয়া)

সাইফুল ইসলাম বাবুলঃ

সুসংবাদ ই কাম্য কারণ ঈদ আনন্দ পরস্পর ভাগাভাগি করে নেবো। যখন মানব জাতি করুন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে তখন ঈদ আনন্দ আমাদের ঠোঁটের কোনায় একছিলতে হাসির উদ্রেক করবে কিন্তু পারিপার্শ্বিকতায় তাও মিলিয়ে গেলো। সহস্রাধিক দুঃসংবাদ আমাদের ঘিরে ধরেছে। কথাগুলো যদি না বলি এর থেকে উত্তরণের কোন পথ থাকবে না যদি পথের সন্ধান পাই সে আশায়। তস্কর এর আস্ফালন সর্বত্রই।

রাজাখালীতে দূস্যুতা দিনদুপুরে অপহরণ দিনের বেলায় আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার মানুষকে ভীতির মধ্যে রেখেছেে। শৃগালকে মুরগি বাসায় পাহারা বসানো হয়েছে সেই অনুসারে তস্কর কে নেতৃত্বে বসানো হয়েছে। শৃগাল ঠিক সময়ে হুক্কাহুয়া দেবে অন্য আওয়াজ তার থেকে কখনো আশা করা যায় না।একটু অতীত দেখুন, খুন ডাকাতি দাঙ্গার জনপদ সে জনপদে রাহাজানির নেতৃত্ব কারা দিয়েছিলো। অনেকে বলে থাকেন তারা ভোট পায় কেমনে, ভোট ভয়ে দেয়, ভালোবেসে দেয় না। সরকারি রিলিফ দিতে টাকা সরকারি ঘর দিতে টাকা প্রমানও রাখেনা কারণ তারা চামচ দিয়ে খানা খেতে পটু। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে সমাজ সাময়িক নীরবতা পালন করে এখানেও সেরকম। নীরহ জনতা বলেন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্তান পড়ানো বোকামি। কিছু অস্ত্র কিনে মাসলম্যন বানালে লাভ।কারণ তারা নেতা হবে অনেক টাকা কামাই করবে আবার উপর জনের নেক নজরেও থাকবেন।

টইটংয়ের পাহাড়ি জনপদ বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনীতে সয়লাভ। তাদের নেতৃত্বে থেকে অনেকে টাকা-পয়সা ও ক্ষমতার মালিক। প্রচুর অনাচার মানুষ সুখে নেই নারী – শিশুও বাদ যাচ্ছে না অত্যাচার থেকে। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইদানিং দা বাহিনীর প্রধান নাছিরের আস্ফালন। রাজনীতি ও তলনীতিতে চেয়ারম্যান বহিষ্কৃত, সাবেক চেয়ারম্যান কে মানসিকভাবে চাপে রাখা হয়েছে।শুনেছি দা বাহিনির প্রধান বিশেষ জায়গার আর্শীবাদ পুষ্ট। বিশেষ জায়গা থেকে যে সমস্ত নেতা বানানো হয় তারা সামাজিকভাবে প্রতিবন্ধী। তাই তারা সামাজিকতার লোড নিতে পারছেনা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এই জনপদ অচিরেই রাজনৈতিকভাবে পক্ষাঘাত গ্রস্ত হবে। এখন দরকার কার্যকর অভিভাবকত্ব।

বারবাকিয়া সেখানে ইলাহী কান্ড। ডজনখানেক জেলা-উপজেলা নেতার বাড়ি এই ইউনিয়নে। তবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় জামায়াত থেকে। একদিকে দলীয় কোন্দল অন্যদিকে তাদের আচরণ ও তাদের পরাজয়ের কারণ। সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা জনতার কাছে যাওয়ার চেয়ে ইতিবাচক কাজে মগ্ন তাই আন্ধার ঘরে তাদের পরাজয় হয়। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র মোঃ আনছার সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তার পক্ষে কিছু শিক্ষিত তরুন ছাড়া আর কেউ নেই। শুনলাম পাহাড়ি জনপদের সন্ত্রাসের হোতা বনের রাজা জাহাঙ্গীর ও নাকি বিশেষ জায়গার আশীর্বাদপুষ্ট। তাই তাকে পুলিশ ও ধরছেনা। পাহাড়ে বসবাসকারী মানুষ তাকে দক্ষিণা না দিয়ে চলতে পারে না। সামান্য বিচারের রেশ ধরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা তিনি নিরুদ্দেশ এখানও রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভর করেছে। আমার প্রশ্ন বারবাকিয়া উচ্চ শিক্ষিত তরুণ সমাজ আপনারা অনেক নেতাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসা করেন এখন তারা নির্বাক কেনো? আমি ফেসবুকে একজনের একটা ছবি দেখেছি তাকে নাকি বিশেষ মূল্যায়ন করেছেন যদি আপনার অবস্থা আনছারে মতো হতো তখন কিন্তু আপনি অসহায় হয়ে যেতেন। কারণ এখন দয়া মায়ার উৎস সন্ত্রাস আর ফুলুস। এখন মাফি ফুলুসের কোন দাম নাই। তাই আপনারা ওই বিশেষ জায়গাটা চিনে রাখুন। ঐ বিষেশ জায়গার উৎস চিনতে না পারলে কপালে দুঃখ আছে। আমরা সে উৎস তৈরি করি নাই আমাদের ওপর ভর করেছে। এটা আমাদের নিয়তি, দেখা যাক নিয়তি কত দূরে নিয়ে যায়।

শিলখালী প্রাচীন আদর্শ গ্রাম এখন ইউনিয়ন।শিক্ষা-দীক্ষায় এগিয়ে থাকা জনপদ। বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়। হাজারো আলোকিত মানুষ গড়ার সূতিকাগার এই বিদ্যালয় এখন চরম গ্রাম্য রাজনীতির শিকার।করোনা কালীন সময়ে বিদ্যালয় বন্ধ থাকা কালীন কমিটি কমিটি খেলা। বিদ্যালয় এর গতি নিম্নগামী। ত্রাণের অপ্রতুলতা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তা থেকে বঞ্চিত। ইউনিয়ন পরিষদের দুর্নীতি দেখার কেউ নেই। বিরোধীদলীয় চেয়ারমান হলেও এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় তিমি বলিয়ান। সরকারদলীয় যে কয়জন আছেন তাদের তেমন একটা পাত্তা আছে বলে মনে হয় না। হাইব্রিডে সাজানো অত্র এলাকা। তাই নীতিবান লোকদের তেমন একটা কদর নেই। এভাবে একদিন দেখা যাবে হারাধনের একটি ছেলে কাঁদে ভেঁউ ভেঁউ মনের দুঃখে বনে গেলো রইল না আর কেউ।শুনেছি হারাধনের ছেলেটিও ধার করা।মারামারি দূস্যুতা প্রতিদিন ঘটেই চলছে।ঘটনা করে বিশেষ জায়গায় গেলে দায় মুক্তি মিলে।

পেকুয়া অত্র উপজেলার সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন। অসংখ্য কাটা ছেড়ার দাগ নিয়ে চলছে এই এলাকা। ক্ষমতাধর দুই পরিবার এবং তাদের অনুসারী নিয়ে নৈরাজ্য চলছে।তারা ঘুরে ফিরে বিশেষ জায়গার আর্শীবাদ পুষ্ট।কারন ঐ জায়গার ধারের প্রয়োজন কারের দরকার নাই। একজন বাবু অন্যজন ভাইপো। বাবু গাড়ি হাঁকিয়ে রঙ্গিন টুপি ও চশমা সজ্জিত হয়ে সন্ধ্যায় মসনদে বসেন।কিছু বিচার আচারের কথা শুনেন কিন্তু কখনোই সামাধান দেন না। শুধু টাকা ফরমানো তার কাজ। তারছেরা টেলি ফোনে থানা এবং ইউএনও অফিসে ফোন করেন। তারপর টাকা পকেটে ভর্তি করে চলে যান। পরেরদিন কাজের কাজ কিছু না হওয়াতে ভুক্তভোগী জানতে চাইলে তার কপালে জুটে মহাধমক। ভাই বেরাধারকে দখলবাজি, চাঁদাবাজি বিচার বানিজ্যের পথে পাঠানো হয়েছে। গড়ে তুলেছেন চৌমুহনী কেন্দ্রিক সিন্ডিকেট। তাদের কাজ মানুষ মারধর করা, থানায় বিচার বানিজ্য, মানুষের আইডি কার্ড গ্রহন, রিলিফের তালিকা করার নামে টাকা হাতড়ানো। সাথে কিছু বকাটে এবং কিছু শ্রমিক নেতা যারা রেডক্রিসেন্ট প্রদত্ত কোরবানির মাংস লুটপাট করেছেন। আবার হাইব্রিডদের দলে ভিড়ানোর নামে বিশেষ সুবিধা গ্রহন। বাবুর কিছু লোক খাল বন্ধ করে মৎস্য চাষ করছে। জলাবদ্ধতার দিকে তার খেয়াল নেই। বাবুর ঐ লোক সারা বসরই মারামারিতে লিপ্ত। কিন্তু সে কখনোই মামলার আসামি হয় না আসামি হয় নিরহ লোকজন। অন্যজন স্বচ্ছ ছিলেন এখন ধীরে ধীরে কলুষিত হয়ে যাচ্ছে। স্ত্রী এনজিওতে চাকরি করার সুবাদে কিছু রিলিফ ওয়ার্ক করছেন। কখনো প্রচার করছেন নিজ নামে কখনো প্রচার করছেন অমুক নেতার সহায়তায়। মাথায় ইউপি নির্বাচনের ভূতও চেপেছে। কিন্তু কখনোই কোনো অনিয়মের কথা মুখে আনবেনা কারণ গণেশ যদি নাখোশ হয়। হাইব্রিড দুই এমইউপির হাবভাব মনে হয় রাজা মেরে রাজ্য পেয়েছে। আরেকজন আছেন যিনি কোনো অবদান না রেখে হরেক রকম ডিউ লেটার বানিয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি কথাবার্তায় যেন চন্দ্রবাবু। প্রচার করে যাচ্ছে যোগ্যতার কথা। ভাই তোমার একটু বয়স বাড়লে ভালো হয় কারণ তুমি তাস খেলতে জানো নেতা হিসাবে তোমার অনেক যোগ্যতা দেখলাম কিন্তু ভাড়ামীও কম দেখলাম না। বাবুর ব্যাপ্তি সারা উপজেলায় হওয়ায় তিনি অনেক কাজে লিপ্ত। অসহায় নারীকে প্রতারণা করে মার্কেট বানিয়েছেন। এখন আপনি শিল্পপতি আপনার মাথায়ও নির্বাচনের ভূত চেপেছে। আসলে ভাগ্যই খারাপ! সোনার তালে দুধভাত আপনার কপালে নেই। মানুষ মনে করে আপনি বিতর থেকেই হিংসুক। আপনার বড় সম্পদ বিশেষ জায়গার আশীর্বাদ। সেটাকে চলমান রাখুন না হলে খবর আছে। শেষ জীবনে হলেও ছাদেক মিয়ার কবরে গিয়ে একটু ক্ষমা চেয়ে নিবেন। যতটুকু পারেন তার সহায় সম্পদ গুলো তার নিঃস্ব পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিন। দলীয় লোকজন আপনাকে অপছন্দ করলেও তাদের ভালোবেসে বুকে জড়িয়ে নিন আখেরে ভালো হতে পারে। টাকা অনেক হয়েছে। এখন আর আকামের দরকার নেই। অনুসারী এবং আত্মীয়দের বলুন মুদির দোকান করতে এতো বেশি নেতা হলে আপনার নেতৃত্বে আঘাত আসতে পারে।

ভাইপো তিনিতো মসনদে আসীন। অনেক কষ্ট পেয়েছে। তাই মানুষ মনে করে তার শাফ্মোচন হয়েছে। ইদানিং তিনিও বিশেষ জায়গার আশীর্বাদপুষ্ট। সেই সুযোগে পুরোনো কাজ শুরু হলে অবস্থা বেগতিক হতে পারে। কারণ তার কাছের লোক গুলো মনে হয় আবার সিনেমা দেখাবে। পরিবারে তুমি নেতা তোমার প্রস্থানে অন্য সদস্য নেতা হোউক। সবাই নেতা হলে অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট হবে। মানুষ তোমার কাছে অনেক আশা করে। তুমিও অশ্বিনী মহুরীর খেলা বন্ধ করলে ভালো হয়। পারলে ছাদেক মিয়ার কবর জিয়ারত করে আসতে পারো। মনে হয় তুমি বিক্রি হচ্ছো তাই চামচ সামলাবে। পেকুয়ার মাদক ব্যবসা কিশোর গ্যাং দখলবাজি বাবু -ভাইপো চাইলে বন্ধ করতে পারে। সবার চোখের সামনে মাদকাসক্ত লোক দ্বারা যুবতী হত্যা এবং ক্রসফায়ার ঘটনা দেখেছেন। তাই একটু সজাগ হলে ভালো। রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা না থাকলে প্রশাসন তেমন কিছু করতে পারে বলে মনে হয় না। আরো অনেক আছে ধীরে ধীরে সবকিছুতেই একটু শৃঙ্খলা আনা দরকার।

মগনামার কথা কি আর বলিবো। এক স্কুলের অনুষ্ঠানে ঘোষণা শুনলাম আমি অমুকের ছেলে অমুক। এবং অত্র এলাকার নেতা অমুক এই দুইজন থাকলে হবে। খবরদার তার সম্পর্কে কিছু বলবেনা এই ঘোষণার পর থেকে সে সবার ভাসুর। ভাসুরের সব অন্যায় মাপ। তিনি কোম্পানির নামে হাজার হাজার একর খাসজমি দখল করেছেন। মানুষ তার কাছে অসহায়। তার প্রচুর টাকা, চলমান পরিস্থিতিতে টাকশাল কিংবা ইয়াবা বানিজ্য ছাড়া এতো টাকার মালিক কেউ হতে পারে বলে মনে হয় না। তার সঙ্গে যদি কেউ ভাঙ্গা যন্ত্র নিয়ে দেখা করে সাথে সাথে সে টাকা পায়। এবং তাকে তার সন্ত্রাসী দলে অভিষিক্ত করা হয়। কোনো একটা রিজার্ভ পুকুরে নাকি পুরনো যন্ত্র মজুত রাখা হয়েছে। মতের বিরোধিতা করলে পুরনো যন্ত্র দিয়ে চালান দেওয়া হয়। অনেক সময় দামি গাড়ি হাঁকিয়ে রাতদুপুরে অফিসে আসেন যাবার সময় মাদক চালান পাহারা দিয়ে নিয়ে যান। মেকি সহায়তা অনেক করেন। রাজনীতির খোলস পাল্টাতে বড়ই পটু। মগনামার দীর্ঘদিনের নেতাকর্মীরা ঘরছাড়া কিংবা মামলার আসামী। কি কেনো উচ্চারণের সুযোগ সেখানে নেই। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বাভাবিক ব্যবসা-বাণিজ্যও কেউ করতে পারে না। অবৈধ টাকার জোরে প্রত্যেক অফিসের পিয়ন পর্যন্ত তার কেনা। একদা এক চকিদার বঙ্গবন্ধুর ছবি মুছে পরিষ্কার করেছিলেন সে জন্য তাকে বেদম প্রহার ও চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ভুক্তভোগী চকিদার জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিকার চেয়ে আবেদন করলে অদৃশ্য কারণে তার আবেদন ফাইল থেকে লোপাট। কারণ জানতে চাইলে বলেন, এসব কথিত নেতার কেনা লোকজনই করেছেন। তিনি মহাপরাক্রমশালী জনপ্রতিনিধি। দলীয় নেতাকর্মীরা খুবই অসহায় তারা নিয়মিত এলাকায় থাকেন না কখন কি হয়! যারা আছেন তারাও নীরব। এসময়ে এরকম একজন দ্বিমুখী লোকের এত ক্ষমতা কোত্থেকে এলো? তবে একথা প্রকাশ্যে শুনা যায় সে নিয়মিত মোটা অংকের টাকা বিশেষ জায়গায় পাঠান। অংশীদার ব্যবসার মতো মগনামায় চলছে অত্যাচার বাণিজ্য। অবৈধ টাকার কারণে রাজনৈতিক কর্মী, প্রসাশন, সংবাদকর্মী সবাই পথভ্রষ্ট। মগনামার শান্তিপ্রিয় জনতা এই নীতিহীনতার অবসান চায়। অনেক রাজনৈতিক কীর্তিমান মানুষের জন্ম মগনামায়। তাই প্রতিবাদী মানুষ যেকোন সময় ফুঁসে উঠতে পারে। এই নব্য সাহেবের অর্থের উৎস খোঁজা দরকার। যেখানে দশ বছর আগে ঠিকমতো ভাত খাওয়া দায় ছিলো এখন একটা বড় সাম্রাজ্য কোথা থেকে এলো। তার লোক দেখানো দান দখিনা মনে হয় অন্ন খেডে নিয়ে অন্ন দান। তার নিবিড় পরিচর্যায় একদিন মগনামা হতে পারে সন্ত্রাসের জনপদ। সবার প্রশ্ন তার খুটির জোর কোথায়?

উপকূল পাড়ের আরেক ইউনিয়ন উজানটিয়া শান্তি প্রিয় মানুষগুলো ধীরে ধীরে অশান্ত হয়ে উঠছে। মাদকের ছড়াছড়ি এক নেতার ছত্রছায়ায়। ওই নেতা অতীতে অনেক আকাম করে দুইটি বড় দালানের মালিক। নিজ গ্রামে কোনো ঘর নেই। মৎস্যজীবীদের অফিস দখল করে ঘর তৈরি করেছেন। স্বনামে বেনামে বিভিন্ন বহিরাগত লোকদের বিপুল পরিমাণ ভূ সম্পত্তি দখল করেছেন। নেতা হওয়ার সুবাদে সাধারণ মানুষকে বেকায়দায় ফেলে থানায় এনে মামলা বাণিজ্য করে। পানি চলাচলের সরকারি খাল বন্ধ করে মৎস্য চাষ করেন। জলাবদ্ধতায় অন্যের ক্ষতি দিকে কোন খেয়াল নাই। বিশেষ জায়গার আশীর্বাদপুষ্ট বিদায় পেকুয়া উপজেলায় যে কোন জায়গায় নাগ গলায়। পেকুয়া বাজারে জায়গা দখল, সুইচগেট দখল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি প্লট তৈরি করে বিক্রি, মানব পাচার করে নিরীহ লোকজনের ঘাড়ে মামলা চাপানো, সন্ত্রাসী সাপ্লাই সবই তার নিত্যনৈমিত্তিক কাজ। হাইব্রিডদের দলে জায়গা করে দিয়ে কোটি টাকার বাণিজ্য করেছেন। নিজ দলীয় লোকজনদের এবং নিরীহ লোকজনকে নাশকতা মামলার আসামি দিয়ে হয়রানি করেছেন। এবং এক বিশাল মামলা বাণিজ্য করেছে। এস এস সি পাস না করে কিভাবে হাজারো শিক্ষিতো লোকজনের উপর ছড়ি ঘোরায় জনতার প্রশ্ন? কেউ সাধারণ ব্যবসা করলেও তাকে চাঁদা দিতে হয়। অত্র এলাকার লোকজন মনে করেন সে নীরব ঘাতক। বিশাল আত্মীয়তার পরিমণ্ডলে সবাই ছিলো বিরোধীদলীয়। এখন সবাই স্বাচ্ছা দলীয় কর্মী। সময় হলে ঠিকই প্রস্থান করবে। তার মাথায় ইউপি নির্বাচনের ভূত চেঁপেছে। তার চাঁদাবাজির কারণে ঠিকাদার নাকি রাস্তার কাজ না করে চলে গেছেন।এখন উজানটিয়ার রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। আর চেয়ারম্যান এ অত্র উপজেলায় এখন একমাত্র নৌকা প্রতীকের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। সেও তাকে ভয় করেন। তার কাজকর্মে যেনো সে হস্তক্ষেপ না করে সেজন্য। কারণ এই ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় খালটি সে দখল করে খায়। ওই খাল থেকে হাজার একর জমির বোরো চাষ হতো। এখন চেয়ারম্যান লুনা পানির চাষ করেন।বিচার ব্যাবস্থায় নানা পক্ষপাতিত্ব দেখা যায়। তাই তার চলাফেরা মানিয়ে চলার চেষ্টা। অবশেষে বলব আমাদের ভাগ্যের হাল আমাদের ধরতে হবে। নেতা বিক্রি হলে কর্মীরা হতাশ কিম্বা পথভ্রষ্ট হবে। রাজনৈতিক ফোরামে আপনারা কথাগুলো খোলাখুলি ভাবে বলুন দলাদলি গ্রুপিং বন্ধ করুন। আপনি হয়তো থাকবেন না আপনার পরবর্তী প্রজন্ম থাকবে। তাকে একটি শান্ত এলাকা উপহার দেবেন। অনিয়ম অনিয়মই তৈরি করে। অতীতের প্রভাব-প্রতিপত্তি আপনারা দেখেছেন এখন কোথায়? ভাগ্যিস আপনার সন্তান মাদকাসক্ত হলে, সন্ত্রাসী হলে, অমানুষ হলে আপনার মরণেও সুখ নেই। এখন দরকার একটু সহজ হওয়া অভিমান ভুলে যাওয়া নিজেকে সৎ ভাবে পরিচালিত করা। ভিন্ন গ্রহ থেকে কোন এলিয়েন এসে আমাদের সাহায্য করবে না। আমাদের ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। প্রতীকী কথাগুলো বলছি আত্মশুদ্ধির জন্য। দুঃখ নেবেন না ক্ষমা করবেন।

তাই বাউলের মতো বলবো ….. “সময় থাকতে পাড়ের সন্ধান করো”।

নিউজটি শেয়ার করুন

Comments are closed.




© All rights reserved © 2020 districtnews24.Com
Design & Developed BY districtnews24.Com