March 28, 2024, 1:03 pm
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বাজারে শুক্রবার বিকেল থেকে ৫ মাসের শিশু বাচ্ছা নিয়ে বিপাকে পুলিশ ও এলাকাবাসী। আশুলিয়া থানার কবিরপুর এলাকার
রাজু মিয়ার স্ত্রী রুমানা বিকেলে সফিপুর বাজারের দর্জি দোকানদার মতিনের কাছে
শিশুটি রেখে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে নিয়ে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বসে থেকে
এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ বাচ্ছাটি উদ্ধার করলেও রুমানার খোজ না
পাওয়ায় বিপাকে পড়ে যায় পুলিশ ও এলাকাবাসী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়,নওগা জেলার সদর থানার সইলকুপা এলাকার জিয়ার আলীর
ছেলে মতিন মিয়া বেশ কয়েক বছর আগে স্ত্রী মিথি ও এক বোন রুমিকে নিয়ে
সফিপুরে এসে লিটনের বাসায় ভাড়া থেকে স্থানীয় কারখানায় চাকুরী নেয়। চাকুরীর
সুবাদে আশুলিয়া থানার কবিরপুর এলাকার রাজু মিয়ার স্ত্রী রুমানার সাথে তার পরিচয়
হয়। রুমানাও মতিনের সাথে চাকুরী করতো।
অপর দিকে মতিনের ন্ত্রী মিথি আক্তারও চাকুরী করতো। এ দিকে মতিন চাকুরী ছেড়ে
দিয়ে সফিপুর বাজারে দুরন্ত টেইলার্সে কাজ শুরু করে। রুমানার সাথে মতিনের দীর্ঘ
দিন যোগাযোগ বন্ধ ছিল। শুক্রবার বেলা ৩টার সময় কবিরপুর থেকে সফিপুরে রাজুর
স্ত্রী রুমানা ওই শিশু বাচ্ছা নিয়ে মতিনের সাথে দেখা করতে আসে। এ সময় ওই
রুমানা বাচ্ছাটিকে মতিনের কাছে রেখে পালিয়ে যায়। পরে শিশু বাচ্ছা নিয়ে মতিন
অনেকক্ষণ বসে থেকে এলাকাবাসীকে বিষয়টি জানায়। এ সময় শিশুকে দেখার জন্য
বাজারে শত শত লোক ভীড় জমায়। পরে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ রুমানা ও তার
স্বামী রাজুকে খবর দিলেও তারা কোন ফোন ধরেনি বা আসেনি। পরে পুলিশ মতিন তার
স্ত্রী মিথি ও তার বোন রুমি ও শিশুকে নিয়ে রাজু ও রুমানাকে ফিরিয়ে দিতে যায়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা আশুলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।
মতিনের বোন রুমি জানান, আমার ভাই মতিনের স্ত্রী ও এ ছেলে রয়েছে। চাকুরীর
সুবাদে রুমানার সাথে পরিচয় হয়েছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে আমার ভাইয়ের কোলে
শিশুটিকে দিয়ে কেন চলে গেলো বুছতে পারলামনা। এখন ফোনও ধরেনা কোন
যোগাযোগ করছে না। এখন আমরা কি করবো ওই শিশু বাচ্ছা নিয়ে।
কালিয়াকৈর থানার এস আই রাখাল চন্দ্র দেবনাথ জানান, ওই শিশুটিকে কেন তার মা
অন্যের কাছে রেখে গেছে, তা জানা যায়নি। শিশুটিকে তার মার কাছে ফিরিয়ে
দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।