March 29, 2024, 12:44 pm
চরমনাই, আলিয়া, হিন্দু তথা দল মত নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণে আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বৃহত্তর বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনার আঞ্চলিক সালানা জলসা শান্তিপূর্ণভাবে সুসম্পন্ন
পবিত্র কোরআন ও মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুপম শিক্ষা প্রচারের আহ্বানের মধ্য দিয়ে দু’দিন ব্যাপী বৃহত্তর বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনার আঞ্চলিক সালানা জলসা খাকদানে শান্তিপূর্ণভাবে সুসম্পন্নহয়। জলসার অুনষ্ঠান শুরু হয় ৬ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টায় আর সমাপ্ত হয় ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায়। জলসায় উপস্থিত ছিলেন আহমদীয়া মুসলিম জামাত বাংলাদেশের জাতীয় আমীর আলহাজ্জ মাওলানা আব্দুল আউয়াল খান চৌধুরী। জলসায় দোয়া কবুলিয়ত আল্লাহতায়ালার অস্তিত্বের প্রমাণ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ হজরত মুহাম্মদ (সা.), হজরত ইমাম মাহদী (আ.)-এর রসূল প্রেম, ঐশী খেলাফত মুসলিম ঐক্যের একমাত্র পথ, , খাতামান নাবীঈনের চিরস্থায়ী কল্যাণ, বিশ্বব্যাপী ইসলাম প্রচারে আহমদীয়া মুসলিম জামাত, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আহমদীয়া খেলাফতের ভূমিকার ওপর পর্যায়ক্রমে বক্তব্য রাখেন মাওলানা শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নুরুল আমীন, মাওলানা মুহাম্মদ রবিউল ইসলাম প্রমুখগণ।জলসায় বক্তাগণ বলেন- বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই সমগ্র বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
সর্বশ্রেষ্ঠ ও খাতামান্নাবেঈন হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে আহমদীয়া মুসলিম জামাতের পবিত্র প্রতিষ্ঠাতা কোন দৃষ্টিতে দেখতেন তাও বক্তাগণ স্পষ্ট করেন আর খাতামান্নাবেঈন শব্দের যত অর্থ আছে সব অর্থকেই আহমদীয়া মুসলিম জামাত যে বিশ্বাস করেন সে বিষয়ে তুলে ধরা হয়। জলসায় মহানবী (সা.) সম্পর্কে আহমদীয়া মুসলিম জামাতের প্রতিষ্ঠাতার এই উদ্ধৃতিও তুলে ধরা হয়- সেই সর্বোচ্চ স্তরের নূর যা মানবকে দেয়া হয়েছে অর্থাৎ পূর্ণ মানবকে, যা ফিরিশতাদের মাঝে ছিল না, নক্ষত্ররাজিতে ছিল না, চন্দ্রে ছিল না, সূর্যে ছিলনা, যা পৃথিবীর সমুদ্র এবং নদী সমুহেও ছিল না, তা মুক্তো, মানিক্য এবং পান্না ও মোতিতেও ছিল না, এক কথায় স্বর্গ ও মর্তের কোন বস্তুতেই তা ছিল না, তা শুধু মানবের মাঝে ছিল অর্থাৎ পূর্ণ মানবের মাঝে, যার পূর্ণ ও সর্বোত্তম ব্যক্তি আমাদের নেতা, নবীদের নেতা, অমর জীবনপ্রাপ্তগণের মনিব মুহাম্মদ মুস্তফা (সা.)। অতএব সেই জ্যোতি সেই মানবকেই দেয়া হয়েছে আর মর্যাদা অনুসারে তার রঙে রঙীন সবাইকে দেয়া হয়েছে অর্থাৎ তাদেরকে যারা কিছুটা তাঁর সেই রঙে রঙীন।
জলসায় উক্ত এলাকার চরমনাই, আলিয়া, হিন্দু তথা দল মত নির্বিশেষে সবাই স্বতস্ফূর্র্তভাবে অংশ গ্রহণ করেন।শেষে মুসলিম বিশ্বের শান্তি কামনার মধ্য দিয়ে দু’দিন ব্যাপী জলসার সমাপ্তি ঘটে।