April 20, 2024, 12:04 am

শিরোনাম :
বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাহাদাত হোসেন রনি পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাহাদাত হোসেন রনি ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাহাদাত হোসেন রনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আমাদের ধরে রাখতে হবে: সাহাদাত হোসেন রনি ৭ মার্চের ভাষণ সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য ঐতিহাসিক ভাষণ: সাহাদাত হোসেন রনি একুশের মূল চেতনা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ধারণ করতে হবে: সাহাদাত হোসেন রনি একুশ আমাদের চেতনা, একুশ আমাদের বিশ্বাস: সাহাদাত হোসেন রনি স্বাধীনতার পূর্ণতার দিন বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: সাহাদাত হোসেন রনি কক্সবাজার ১ আসনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে শেষ মূহুর্তে জাফর আলমের ভোট বর্জনের ঘোষণা বাঙালি জাতির আস্থার নাম হলো ছাত্রলীগ: সাহাদাত হোসেন রনি
ইবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে প্রগতিশীল প্যানেলকে হারাতে জামাতকে ভোট: সমালোচনা ঠেকাতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নতুন কমিটি

ইবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে প্রগতিশীল প্যানেলকে হারাতে জামাতকে ভোট: সমালোচনা ঠেকাতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নতুন কমিটি

ইবি প্রতিনিধিঃ

গত ১৫ ডিসেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে প্রগতিশীল প্যানেলকে হারাতে জামাতকে ভোট দিয়ে ব্যাপক সমালোচনায় পরে পদচ্যুত সাবেক উপ উপাচার্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিন সমর্থিত মাহবুবুল আরেফিন গ্রুপের শিক্ষকরা। এই সসমালোচনা ঠেকাতে নতুন কৌশল হিসেবে কেন্দ্র হতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নতুন কমিটি এনেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে শিক্ষক সমাজের সমর্থন পায়নি এ কমিটি। তা পরিস্কার হয়েছে আজ বঙ্গবন্ধু মুর‌্যালের পাদদেশে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনে। সেখানে শিক্ষক ছিল ২৩৫ জনের মধ্যে হাতেগোনা ১০/১৫ জন। কর্মকর্তা – কর্মচারী আর তাঁদের সাথে বেশ কয়েকজন জামায়াত-বিএনপির সক্রীয় সমর্থকের উপস্থিতি লক্ষ্যনীয় ছিল। তিন কমিটি দিয়ে চলে আসছিল ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদ। এর মধ্যে কোন কমিটিই বিলুপ্ত না হয়ে যোগ হলো নতুন আর একটি কমিটি। ফলে বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠনটির সদস্য শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মধ্যে।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব মুর‌্যালের সামনে বঙ্গবন্ধু পরিষদের গুটিকয়েক শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিয়ে সমাবেশ করে। পরে সেখানেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান কে সভাপতি এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরেফিন কে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নতুন করে এ কমিটির ঘোষণা দেয়। নতুন করে কমিটির ঘোষণার পরে পূর্বের কোন কমিটির বিলুপ্তি না হওয়ার বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয়।

জানা যায়, ইবিতে বঙ্গবন্ধু প্রেমিক শিক্ষক- কর্মকর্তাবৃন্দ ১৯৯৬ সালে “বঙ্গবন্ধু পরিষদ” নামে এই শিক্ষক সংগঠনের যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে নির্বাচনের মাধ্যমে একেরপর এক কমিটি গঠিত হয়। পূর্বের একটি নির্বাচিত কমিটি এবং দুটি আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্তি না করে সর্বশেষ নতুন এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে চারটি কমিটি দিয়ে চলমান বঙ্গবন্ধুর পরিষদের এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে সংগঠনটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের দাবি খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের মধ্যে নির্বাচিত দুটি আলাদা আলাদা কমিটি করে বঙ্গবন্ধু জন্ম শতবার্ষিকী পালনের কর্মসূচি হাতে নিতে হবে এবং বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করতে কাজ করার দাবি জানান তাঁরা।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সর্বশেষ ২০১০ সালে নির্বাচিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়া হয় যেখানে সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক ড. আবুল আহসান চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রুহুল কে.এম. সালেহ। ২০১৪ সালে ১০১ জন শিক্ষক এবং একইভাবে কর্মকর্তারাও আলাদা হয়ে পৃথক পৃথক কমিটি গঠনের আবেদন করেন। সে বিষয়ের সিদ্ধান্ত ননা হয়ে এবং নির্বাচিত কমিটিকে বিলুপ্তি না করে পরবর্তীতে কেন্দ্র থেকে একটি আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন নিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশ যেখানে আহ্বায়ক হন আইসিই এর অধ্যাপক. মাহবুবুর রহমান এবং যুগ্ম আহ্বায়ক ইংরেজির অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান। সম্পূর্ন অগনতান্ত্রিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অপমানজনক মনে করে কেন্দ্র থেকে অনুমোদন নিয়ে আসা এ আহ্বায়ক কমিটির বিপক্ষে পাল্টা আরেকটি কমিটি করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের বাকি একাংশ দেখা যায় সেখানে সভাপতি হন অধ্যাপক ড. মোঃ জাকারিয়া রহমান সাধারণ সম্পাদক করা হয় অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। এছাড়া আজকের ঘোষিত কমিটি সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আরেফিন ঐ সময় কেন্দ্র ঘোষিত কমিটিকে প্রত্যাখান করে বিপক্ষের কমিটিতে নাম দেখা যায়।
বঙ্গবন্ধু প্রেমিদের মধ্যে নিন্দার ঝড় তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, “কমিটি গঠনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু মুর‌্যালের পাদদেশে যখন শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে তখন তাঁদের সাথে বেশ কয়েকজন জামায়াত-বিএনপির সক্রীয় সমর্থক দেখে আমরা মর্মাহত হয়েছি। যিনি কাজী নজরুল বিপ্র বিশ্ববিদ্যলয়ে হাতেনাতে দুর্নীতি ধরা পড়ে সিন্ডিকেটে কালো তালিকাভুক্ত হয়েছেন, যার নারী নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তাধীন। যারা সরাসরী প্রগতিশীল শিক্ষকের বিপক্ষে জামাতকে ভোট দিয়ে চরম বিতর্কিত হলেন। তারা নাকি বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা! আসুন বঙ্গবন্ধু প্রেমিদের ভোটে জনপ্রিয়তা যাচাই করি”।
এ বিষয়ে নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুল আরেফিন বলেন, আমরা যে কমিটি ঘোষণা করেছি তা ১০১ সদস্য বিশিষ্ট যা কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ কতৃক অনুমোদিত। তাঁর কাছে অনুমোদন পত্রের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অনুমোদিত কমিটির তালিকা প্রকাশ করবো। নতুন কমিটি ঘোষণার পর শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদনের সময় জামায়াত-বিএনপির উপস্থিতির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কমিটিতে জামায়াত-বিএনপির কেউ নেই, ফুল দেয়ার সময় আশেপাশে কেউ এসে থাকলেও সেটা আমাদের কিছু করার থাকেনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Comments are closed.




© All rights reserved © 2020 districtnews24.Com
Design & Developed BY districtnews24.Com