April 19, 2024, 3:02 am

শিরোনাম :
বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাহাদাত হোসেন রনি পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাহাদাত হোসেন রনি ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাহাদাত হোসেন রনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আমাদের ধরে রাখতে হবে: সাহাদাত হোসেন রনি ৭ মার্চের ভাষণ সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য ঐতিহাসিক ভাষণ: সাহাদাত হোসেন রনি একুশের মূল চেতনা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ধারণ করতে হবে: সাহাদাত হোসেন রনি একুশ আমাদের চেতনা, একুশ আমাদের বিশ্বাস: সাহাদাত হোসেন রনি স্বাধীনতার পূর্ণতার দিন বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: সাহাদাত হোসেন রনি কক্সবাজার ১ আসনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে শেষ মূহুর্তে জাফর আলমের ভোট বর্জনের ঘোষণা বাঙালি জাতির আস্থার নাম হলো ছাত্রলীগ: সাহাদাত হোসেন রনি
যশোরে ৬৫৪ নদী দখলদার চিহ্নিত!অনুসন্ধানে নদী রক্ষা কমিশন

যশোরে ৬৫৪ নদী দখলদার চিহ্নিত!অনুসন্ধানে নদী রক্ষা কমিশন

যশোর জেলা প্রতিনিধি।। যশোরের ভৈরব, কপোতাক্ষ, চিত্রা, হরিহর, মুক্তেশ্বরী নদী গিলে খেয়েছে ৬৫৪ দখলদার। তারা নদীর দুই পাড় দখল করে গড়ে তুলেছে বহুতল ভবন, বসতবাড়ি, মার্কেট, হাসপাতাল, চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনা। কোন কোন স্থানে নদীতে চাষ করা হচ্ছে মাছ। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এসব দখলদারদের উচ্ছেদের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এজন্য সম্প্রতি জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন থেকে তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

জানা যায়, সারাদেশের নদীকে দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যার অংশ হিসেবে প্রথমে এসব অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরি করা হয়। এজন্য চলতি বছরের শুরুতে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হয়। গত ২৮ জানুয়ারি পাঠানো ওই চিঠিতে সরেজমিন গিয়ে তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়।

নির্দেশনা অনুযায়ী যশোরের আট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ৯৩টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে স্ব স্ব এলাকার নদী দখলদারদের তালিকা তৈরি করে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের কাছে পাঠাতে বলা হয়। সেই তালিকায় যশোরের ৬৫৪ জন রয়েছে। যারা বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করে ভৈরব, চিত্রা, শ্রীনদী, হরিহর, মুক্তেশ্বরী, বেতনা, কপোতাক্ষ নদীর স্বাভাবিক গতিপথ রুদ্ধ করেছে। যাদের স্থাপনার স্বচিত্র তালিকা জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ওয়েবসাইটি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে কোন কোন স্থানে পুরো নদীই দখল করা হয়েছে। আবার কোন কোন এলাকায় নদীর মধ্যে বাঁধ দিয়ে চাষ করা হচ্ছে মাছ। কোথাও নির্মাণ করা হয়েছে বহুতল ভবন।

গত ৩০ জুলাই নিজেদের ওয়েবসাইটে এসব দখলদারদের তালিকাটি প্রকাশ করে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। যশোর সদরে ভৈরব দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা সেই তালিকায় রয়েছে একতা ক্লিনিক, দড়াটানা হাসপাতাল, মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কম টেক হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, দেশ ক্লিনিক, অর্থোপেডিক ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জনতা সুপার মার্কেট, স¤্রাট সুজ, প্রাইম সুজ, ছিট বিতান, এ্যানি সুজ, একতা ক্লথ স্টোর, তাসলিমা টেলিকম, নাদিকের মাংসের দোকান, বিজিবি ক্যাম্প, বিভিন্ন চায়ের দোকান, বাসা বাড়িসহ ৮৫ জন।

বাঘারপাড়ার চিত্রা নদী দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে স্থানীয় থানা, পৌরসভা। এই নদীর উপর রয়েছে আরো ৩৯ স্থাপনা। এছাড়া মণিরামপুরে হরিহর, মুক্তেশ্বী, ও শ্রীহরি নদী দখল করেছে ১৮৩ জন, ঝিকরগাছায় কপোতাক্ষ নদীর দুই পাশ দখল করে বহুতল ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছে ৩০ জন, চৌগাছায় ৪০ জন। শার্শার বেতনা নদীসহ বিভিন্ন খাল দখল করেছে ২৪৫ জন। আর তালিকায় অভয়নগরের ৪৯ ও কেশবপুরের একজন দখলদারদের তালিকায় রয়েছেন।

এব্যাপারে যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি নতুন এসেছেন। বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Comments are closed.




© All rights reserved © 2020 districtnews24.Com
Design & Developed BY districtnews24.Com