March 28, 2024, 3:20 pm
পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড় বোদা উপজেলার ব্যাংহারী ইউনিয়নে বনবিভাগের জমি দখল করে বাদাম চাষের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে বনবিভাগ। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের বনবিভাগের ১০৮ একর জমি রয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই জমির মধ্যে প্রায় তের একর জমি সামাজিক বনায়ন করার জন্য স্থানীয় ১২ জন উপকারভোগীকে ১০ বছরের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে পঞ্চগড় সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ওই ১৩ একর জমির মধ্যে প্রায় ৬ একর জমিতে সদর উপজেলার মাগুরা প্রধানপাড়া গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক মাহামুদুল আলম বাদাম চাষ করার জন্য গত শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ শুরু করেন। এসময় উপকারভোগীরা বিষয়টি বনবিভাগকে জানালে পঞ্চগড় সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্মচারীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে চাষ করতে বাধা দেন। কিন্তু মাহামুদুল আলমের লোকজন বোদা উপজেলার ঝলঝলি গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে আব্দুল জলিল, মানিক পীর এলাকার খমির উদ্দিনের ছেলে সফিউল ইসলাম বাধা না মেনে জোর করে চাষ করতে থাকেন। একপর্যায়ে বিষয়টি ফোনে বোদা থানায় জানান তারা। খবর পেয়ে বোদা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ট্রাক্টরটি জব্দ করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে পঞ্চগড় সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন এ ঘটনায় বোদা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। রুহুল আমিন জানান, এই মৌজায় বনবিভাগের ১০৮ একর জমি রয়েছে।বনবিভাগ স্থানীয়দের নিয়ে সামাজিক বনায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।বনায়নের কাজও শুরু হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তরা জমি দখল করে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ শুরু করলে আমরা খবর পেয়ে ছুটে যাই। বাধা দিলে তারা আমাদের হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে মাদ্রাসা শিক্ষক মাহামুদুল আলম জানান, স্থানীয় রেকর্ডিংয়ে মালিকদের কাছ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে এই জমি কিনে নিয়েছেন তিনি। অচিরেই বনবিভাগকে কাগজপত্র দেখাবেন বলে জানান। বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হায়দার মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে এখনো কোনো মামলা হয়নি।