December 12, 2024, 1:41 pm
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধিঃ
এক ভাই ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অপর ভাই আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ভাইকে মামলা ও ধরপাকড় থেকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠতে ভাই বিএনপি নেতা।
এমন নানান অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে।
আওয়ামী লীগ আমলে বিএনপি নেতাকর্মী নিধন ও বহু অপকর্মে লিপ্ত সাবেক এমপি জাফর ও সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনের চেলাবলে পরিচিত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেন এই সরকারের আমলেও রয়েছে ধঁরাচোয়ার বাইরে।
আইনশৃংখলা বাহিনী তাকে ধরতে অভিযান চালালেও বিএনপি নেতা ভাই আক্তার হোসেন বিএনপির প্রভাব খাটিয়ে তাকে বাঁচিয়ে নিচ্ছেন বারবার।
ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপি তৃণমূল কর্মীরা জানান, ২০১১ সালে ইউপি নির্বাচনে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সহ নেতাকর্মীদের উপর হামলা’র নেতৃত্ব দেওয়া আবুল হোসেনের মূল টার্গেট ছিল হামলা ও মামলা জড়িয়ে বিএনপি কর্মী নিধন করা।
বিএনপি নেতাকর্মী দেখলেই তেড়ে এসে হামলা চালানো আবুল হোসেনকে যেভাবে তার ভাই আক্তার হোসেন আগলেই রেখেছেন তা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন বিএনপি’র দলীয় পদ ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে লিপ্ত থাকলেও ০৫ আগষ্ঠ এর আগে কোন ধরনের দলীয় কর্মসূচিতে একবারের জন্য অংশগ্রহন ও ফেইসবুকে দলীয় কোন পোস্ট প্রচার করেননি । দলের নেতা কর্মীদের প্রশ্ন আওয়ামী লীগের দুস্বর এই বিএনপি নেতাকে কিভাবে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছেন ।
১৭ বছর নির্যাতণ সহ্য করার পরও কি এ আমলেও আওয়ামী লীগের দোস্বরদের নির্যাতণ ও হামলা মামলা সয়ে যাবে এমন প্রশ্ন স্থানীয় বিএনপি নেতা কর্মীদের।
আক্তার হোসেনের ভাই আবুল হোসেন যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন।
বিএনপি নেতাকর্মীরা যারা আওয়ামী লীগের নেতাদের রক্ষা জন্য তৎপরতা চালাবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি/সম্পাদককে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দরা।