September 9, 2024, 3:25 pm
পেকুয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় কবরস্থানের যাতায়াতের রাস্তা নির্মাণে বাধা দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। এ সময় ভূমিদস্যুদের হামলায় অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে। সৃষ্ট ঘটনার জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ সময় উত্তেজিত লোকজন কবরস্থানের ঘেরা ভাংচুর করে। রবিবার (১৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের বারাইয়াকাটায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- ওই এলাকার মৃত মজু মিয়ার পুত্র নুরুল আলম (৪৯), মৃত আজিজুর রহমানের পুত্র শত বছর বয়সী হাজি নজির আহমদ, হাজী নুরুল কাদেরের পুত্র জামাল হোসেন (৪২) ও আক্তার আহমদ (৫৬), হাজী নজির আহমদের পুত্র বাদশাহ মিয়া (৫৫), নুরুল কাদেরের পুত্র ফুরুক মিয়া (৬৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দক্ষিণ বারাইয়াকাটায় কাদেরিয়া জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে যাতায়াতের জন্য রাস্তা তৈরী কাজ শুরু করা হয়েছে। ১২ শতক জায়গার উপর সেখানে একটি কবরস্থান স্থিতি আছে। ২০০৬ সাল থেকে মসজিদ ও কবরস্থান নির্মিত হয়েছে। কবরস্থানে যাতায়াতের রাস্তা ছিল না। স্থানীয় মজু মিয়ার দু’পুত্র নুরুল আলম ও বাদশাহ মিয়া পৈত্রিক অংশ থেকে রাস্তার জন্য ২শতক জমি রেজিষ্ট্রি দেন। গত ৪ দিন ধরে মসজিদ ও কবরস্থান পরিচালনা কমিটি সেখানে রাস্তা তৈরীর কাজ আরম্ভ করে। ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে ১৫/২০ জনের দুবৃর্ত্তরা লাঠি সোটা, দা ও কিরিচ নিয়ে এসে সড়ক তৈরীতে বাধা দেয়। এ সময় কমিটির লোকজন গিয়ে কারণ জানতে চাইলে দুবৃর্ত্তরা দাতাসহ পরিচালনা কমিটির ৬ জন জৈষ্ট্য সদস্যকে পিটিয়ে আহত করে। এক পর্যায়ে তারা কবরস্থানের বাঁশের ঘেরা ভাংচুর করে। ফসলী জমিতে ধানের বীজতলাও তান্ডব চালায়। হাজী নজির আহমদ জানান, আমি মসজিদ প্রতিষ্ঠার সময় ২০ শতক জমি দিয়েছি। এরপর মসজিদের জন্য আরো ২ কানিসহ ১ একর জমি দিয়েছি। বারাইয়াকাটার ফোরকান, আশরাফ আলী, আবুল বশর, মামুন, আলমগীর, আবদুস ছোবাহানসহ ১৫/২০ জনের লোকজন এসে কিরিচ, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। আমার বয়স হয়েছে ১০২ বছর। তারা আমাকেও মারধর করে। নুরুল আলম জানান, কবরস্থানে যাতায়াতে রাস্তা ছিল না। আমরা জায়গা দিয়েছি। এখন রাস্তা তৈরীতে বাধা দিচ্ছে। আমাকেও শ^াসরুদ্ধ করে হত্যা চেষ্টা চালায়। তারা কবরস্থান ও রাস্তা জবর দখলের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে এসেছিল। কুনু মিয়ার পুত্র মো: শরীফ নামক নি:স্বার্থবান ব্যক্তির কাছ থেকে ফোরকান গং তথ্য গোপন করে দলিল নিয়েছে। ওই চক্র কবরস্থান দখলের মরিয়া হয়েছে। পুলিশ এসেছিল। করবস্থানের কাজে বাধা না দিতে বলে দিয়েছে। এ ব্যাপারে ফোরকান গং জানান, অভিযোগ সত্য নয়। এ জায়গাটি আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি। সমাজ কমিটির নেতা মাহামুদুল করিম জানান, যে কোন পেশী তৎপরতা আমরা প্রতিহত করবো। কোন অবস্থাতেই কবরস্থানের জায়গা জবর দখল করতে দেওয়া হবে না। পেকুয়া থানার এস,আই ই¯্রাফিল জানান, কবরস্থান হচ্ছে মানুষের শেষ ঠিকানা। উন্নয়ন কাজে বাধা না দিতে বলেছি। কাগজপত্র সমস্যা থাকলে বসে সমাধান করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।