September 9, 2024, 2:18 pm
ইতালী আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বৃহত্তর ঢাকা ইতালীর সাধারণ সম্পাদক সাহাদাত হোসেন রনি, ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাঙালি জাতির জন্য ঐতিহাসিক ভাষণ নয়, এটা সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য ঐতিহাসিক ভাষণ। ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাঙালি জাতির স্বাধীনতার ঠিকানা, স্বাধীনতার দিশা, স্বাধীনতার ঘোষণা তুলে ধরেননি, তিনি কিন্তু সারাবিশ্বের সমগ্র নির্যাতিত, নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর জন্য একটি রূপরেখা রেখে গেছেন এই ভাষণের মাধ্যমে। তার এ ভাষণ পাল্টে দিয়েছে একটি দেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত। এ ভাষণ মানুষকে স্বাধীনতাকামী করে তোলে। এ ভাষণ ছিল বহুমাত্রিকতায় বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। শুধু বাঙালির জন্যই নয়, বিশ্বমানবতার জন্যও অবিস্মরণীয়, অনুকরণীয় এক মহামূল্যবান দলিল। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লাখো জনতার উদ্দেশ্যে বজ্রকণ্ঠে ১৮ মিনিটব্যাপী যে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন তা ছিল মূলত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। তিনি একদিকে পাকিস্তানি জান্তাকে হুঁশিয়ার করেন, ‘সাত কোটি মানুষকে দাবায় রাখতে পারবা না।’ একই সাথে নিরস্ত্র বাঙালিকে শিখিয়ে দেন কীভাবে শত্রুর আঘাতে প্রতিঘাত করতে হবে, ‘জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সব কিছু, আমি যদি হুকুম দেবার না পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে। আমরা ভাতে মারব, পানিতে মারব।’ ৭ মার্চের ভাষণটি লিখিত বক্তব্য না হলেও এটি ছিল তথ্যনির্ভর ও দিক নির্দেশনামূলক, যার মধ্যে দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রস্তুতিপর্ব থেকে শুরু করে সমাপনী পর্যন্ত একটি পথরেখা এঁকে দিয়েছিলেন। এটি এতটাই আকর্ষণীয় ও কবিতাময় ছিল যা লাখ লাখ বাঙালিকে দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন বিসর্জন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে উৎসাহিত করেছিল। তাই আমি মনে করি ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।