September 8, 2024, 6:46 pm
ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর হাফিজুর এর পলিথিনে মোড়া অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
নিহত হাফিজুর রহমান উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের রিশখালী গ্রামের সোহরব হোসেনের বড় ছেলে ও দৌলতপূর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাব্দার রহমানের ভাতিজা।
রবিবার দুপুরে কেষ্টপুর চরেরমাঠ এলাকায় মাছ ধরা দলের মধ্যে ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে মান্নান পানির নিচথেকে একটি মোবাইল ফোন পান। ফোন পাওয়ার পর জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়, তাদের অনেকে আলোচনা করে গত বুধবার ৫ই অক্টোবর স্থানীয় দশমাইল বাজারে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেনি হাফিজ। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয়দের সহায়তায় কলাগাছের গোড়া থেকে মাথা নিচের দিকে দেওয়া পুতেরাখা পলিথিনে মোড়া হাফিজুরের মরদেহ উদ্ধার করে।
থানা পুলিশ ও স্থানিয়দের ধারণা ধারালো অস্ত্রধারী এক বা একাধীক ব্যক্তি তাকে ধারলো অস্ত্রোদিয়ে ঘাড়ে কুপিয়ে হত্যার পর পলিথিনে মুড়িয়ে মাটিতে পুতে রেখে যায়।
এ ঘটনায় হরিণাকুণ্ডু শৈলকুপা সার্কেল অমিত কুমার বর্মন ও হরিণাকুণ্ডু থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে হরিণাকুণ্ডু থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান,গত ৫ই অক্টোবর হাফিজুর রহমান নামের এক ব্যাক্তি হারিয়ে গেলে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়রি করে। রবিবার দুপুর ১২ টায় স্থানীয়রা খালে মাছ ধরতে গেলে একটি মোবাইল ফোন পেয়ে সন্দেহ করে পুলিশে খরব দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পলিথিনে মোড়া অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে প্ররণ করা হয়।
এছাড়াও তিনি যানান এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঝিনাইদহ সদর থানার এনায়েতপূর গ্রামথেকে মহর আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন কে থানায় আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান এ হত্যার মটিভ উদ্ধারে পুুলিশ কাজকরে চলেছে, সত্তর এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।