April 19, 2024, 1:02 am
ডিএন২৪ ডেস্ক:
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সমন্বয়ে শুরু হয়েছে জোন ভিত্তিক ফুটবল খেলা। জোন ভিত্তিক বিভিন্ন ভেন্যুতে উক্ত খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু অন্যান্য বছরের চেয়ে এবারের খেলাগুলো একটু আলাদা। আলাদা বলছি এই জন্য যে, খেলার সাথে তেমন আনন্দ নেই, আছে শুধু মারামারি! প্রত্যেক ভেন্যুতে কম-বেশি মারামারি হলেও, চকরিয়া হারবাং উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আজকের (৩ সেপ্টেম্বর) খেলায় এক ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ বনাম হারবাং উচ্চ বিদ্যালয়ের মধ্যে অনুষ্টিত হয় আজকের জোনের খেলা। খেলার আহবায়ক ছিলেন হারবাং উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামাল হোসাইন। তবে দুঃখজনক, তিনি কৌশলগত কারণে খেলায় অনুপস্থিত। হয়তঃ তিনি পূর্ব থেকে ঘটনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবগত ছিলেন। খেলায় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা সরাসরি কামাল হোসেনকে এই ঘটনার ইন্ধনদাতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি উপস্থিত থাকলে হয়তঃ ঘটনার সূত্রপাত হতো না! তবে উক্ত ঘটনার বিষয়ে হারবাং উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন ও রেফারি আনিসুর রহমানকে আইনের আওতায় নিলে সব রহস্য ফাঁস হতে পারে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল বিকাল তিনটায়। তবে খেলা শুরু হয়েছে দেড় ঘণ্টা পর। খেলার নির্ধারিত সময় ছিল ৫০ মিনিট। প্রথমার্ধে ১-১ গোলে সমতা ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে ১০ মিনিটের মাথায় হারবাং উচ্চ বিদ্যালয় ২-১ গোলে এগিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে ১৫ মিনিটের মাথায় রেফারি খেলা সমাপ্তির শেষ বাঁশি বাজালে শুরু হয় হৈচৈ। কারণ সময় আরো ১০ মিনিট বাকি। কি কারণে ১৫ মিনিটের সময় শেষ বাঁশি বাজালো রেফারির সাথে তা নিয়ে কথা চলছিল। ঐ মুহুর্তে হারবাং উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুলড্রেস পরিহিত কিছু যুবক লাঠি-ছোঠা নিয়ে কোরক বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। শুধু তা নয়, পতিমধ্যে তিনটি স্থানে দফায় দফায় হামলা চালায়। উক্ত হামলায় কোরক বিদ্যাপীঠের ১০/১৫ জন ক্ষুদে খেলোয়াড় কম-বেশি আহত হয়। তন্মধ্যে ৪/৫ জন গুরুত্বর আহত হলে তাদেরকে চকরিয়া জমজম হাসপাতাল ও সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উপরোক্ত কথাগুলো বলেন-কোরক বিদ্যাপীঠের ক্রীড়া শিক্ষক আনচারুল করিম ও সহকারি শিক্ষক জাহেদুল ইসলাম। তাঁরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
আজকের খেলায় রেফারির দায়িত্বে ছিলেন মালুমঘাটের আনিসুর রহমান। তাঁর সাথে যোগাযোগের জন্য বহুবার চেষ্টা করার পরও মোবাইল সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয় নি। পরে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- ঘটনাটি সম্পর্কে আমি অবগত হওয়ার পর সাথে সাথে পুলিশের সোর্স পাঠানোর এবং প্রত্যেক খেলোয়াড়দেরকে নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এবিষয়ে কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ দেন নি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।